পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । ∶ ዓ : তখন বেলিলে যে তুমি ফিরে বাড়ী যাও, এদিকে যেতে পাবে না । তাঁ আজ সকালে এই কথা শুনে তো আমার বড় ভয় হয়েচে । এখন তো আমার ঠিক বোধ হোচ্ছে যে অমরনাথ বাবুকেই তার চাচ্ছিল। ৩ সভ্য। ভয়ের বিষয়ই তো বটে। তুমিও অমরনাথ বাবুর ন্যায় দীর্ঘকায়, বাহু দুট তেমনি মাংসল এবং কোমল, আর তিনিয় কালকে এই তোমার মসুএকটি রেশমী পীরাণ গায় দিছলেন । আমার তো স্পষ্ট বোধ হচ্চে যে এই ঘটনাই হয়েচে । (জনেক গ্রামবাসীর প্রবেশ ) o গ্রাম। মহাশয় । ভারি সর্বনেশে ব্যাপার! আপনার সকলই শুনেছেন বোধ হয়। কেননা রাস্তায় বেরুলিই তো আর কোন কথা নেই। দুজন, তিনজন এর অধিক নয়, স্থানে স্থানে দাড়িয়ে কেবল এই কথাই কোচ্চে । সকলে । ই, আমরা শুনিছি। গ্রাম। যেমন একটি ঘড়িতে ভারি অtঘাত লাগলে তার সকল ংশ গুলি বিশৃঙ্খলা হয়ে পড়ে, তেমনি সকলের মানসিক ধর্ম্ম সমূহের মধ্যে যেন এক্ট বড় হয়ে সৰ উলত পুলত হয়ে পোড়েচে । কারে বুদ্ধি স্বস্থানে বা সহজ অবস্থায় নেই। বকুল তলার ঘোষ ঠাকুরের ওখানে দেখি যে দীন মুখুয্যে আর হর চুলবুলে এই দুজনে এই কথা বলা বলি কোচে, আর ঘোষ ঠাকুর মুখ ধুতে ধুতে সেই দিগে ই কোরে শুনৃচেন । আর এদিগে হাতে জল নিয়েচেন সে জল টপ টপ কোরে পোড়ে যাচ্চে । আবার আমাদের বিশ্বনাথ খুড় সেখানে বোসে হাতেমাটি কোর্ত্তে কোর্ভে সেই হাত গালে দে বোসে ঐ দিগে গড়া সঙের মত চেয়ে আছেন । আর খানিক দূর এসে দেখি যে সাতু কীরকুন এক উড়নি পোরেচে, ধুতি একখান কাধে ফেলেছে, একখানা মুতন আর একখানা পূরণ ময়লা ছেড়া ঠন্‌ঠনের চাট—সাতু কারকুন আর কোন রকম জুত পার