পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । >br> যেমন কীট বন থেকে বেরিয়ে আসতে একটা ছাড়ে তো আর একটা ধরে, এই রকম, আমার কার্য্য আর শেষ হয়ই না । ( রাধামোহনের প্রতি দৃষ্টি করিয়া ) আমি আপনার বাড়ীতে গিছলেম, তা শুনলেম আপনি অনেকক্ষণ বেরিয়েচেল, আর ভাল আছেন । রাধা । আপনি যে পর্য্যন্ত আসবার কথা লিখেছেন সেই অবধি রোজ ট্রেণ আসবার সময় হলে আমি গিয়ে বকুলতলার ঘোষ ঠাকুরের ওখানে বসি । যত লোক রাস্তা দিয়ে যায়, আমি মনে করি এইবার আপনি আসচেন, নিকটে এলে দেখি যে তা নয়। তার পর, আপনি আরাম হয়েচেন তো ভাল ? সুসার। ই, তা হইচি । মতি । আপনার আসাতে যে কত দূর আমাদের সাহস হল তা আমাদের অবস্থা জানলেই বুঝতে পারবেন এখন । দ্বিজ । আমাদের যে তিনটি কার্য্য ছিল তা একটি তে। অন্তর্জলে বার করা গেছে । মুসার । সেকি ? মতি । সুতরাং অমরনাথ বাবুর যাওয়াতে আমাদের তিনটি কার্য্যেরই জীবন আশা পরিত্যাগ করা হয়েছে। তবে এখন ক্ষয় রোগগ্রস্ত রোগীর ন্যায় যতদিন শুশ্রুষার দ্বারা জীবিত রাখা যায়। ঔষধি আর নেই । সুসার । মহাশয় চিন্তা কোরবেন না । ক্ষয় রোগ হতেও তো মুক্ত হয় কখনও কখনও । মতি । ই, তা হয় বটে, কিন্তু কার্য্যটি এমনি, যে যে বৈদ্যের দ্বারা সাধিত হয়, তার ঐ একটি চিকিৎসাতেই ইহকালে যশ, আবার পরকালে মুক্তি । স্বসার । তা একার্য্যটি সামান্যতঃ এইরূপ গুরুতর বটে, কিন্তু কখনও কখনও এই রূপ গুরুতর কার্য্য আবার হাভড়ে বৈদ্যের দ্বারা সাধিত হয়। 盔