পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । > ጓ তৃপ্তিজনক বটে, কিন্তু ফলেব সঙ্গে বিষয় নেই। অমরনাথের সেরূপ নয়, বিলাতীয় কলের ন্যায় তার শব্দ অপেক্ষ কার্য্য অধিক। এই দেখ এই গ্রামে যতগুলি ভদ্রলোক নিরন্ন আছে, সকলেরই কিছু কিছু মাসিক বরাদ আছে। আর এই ইস্কল বল, বালিকা বিদ্যালয় বল, ব্রাহ্মসমাজের দান শালাই বল, যাতে অন্ধ অতুর লোক এ গ্রামে অন্ন পাচ্ছে, এ সবই তো অধিকাংশ তারই দ্বারা নির্ব্বাহ ছোচে । ঘোষ । কি বোল্লেন ! ব্রাহ্মসমাজের দানশালা ? মহাশয়ের মুখে যে ব্রাহ্মসমাজের কর্ম্ম কাণ্ডের প্রশংসা শুনৃতে হলো, এতেই বোধ হয়, মহা প্রলয়েব দিন নিকট হয়েছে। যে সব লোক দূতী পাঠীয়ে ভদ্র লোকের ঘরের বিধবা বার কোরে ধর্ম্ম নষ্ট করে, তাদের গুণের আবার প্রশংসা ? আর অমরনাথই হোম্, আর যে নাথই হোনৃ, যিনি এই মহাপাতকের মুলাধার, তিনি যদি বিদ্যায বৃহস্পতি, রূপে কন্দৰ্প, ঔদার্য্যে শিব হন, তবু অন্যান্য সহস্ৰ দোষে দোষী-মুরাপান, বারনারীগমন, নর হত্য ইত্যাদি—তার অপেক্ষাও তিনি জঘন্য ! ন্যায়। ই, তা—সে কথা—অস্বীকার করা যায় না বটে ;—তা— মুনিনাঞ্চ মতিভ্রমং । দেবতাদেরও দোষ আছে। একটা না একটা দোষ না থাকলে তাকে মনুষ্য বলা যায় না। মনুষ্য শব্দের অর্থই সদোষ। রাধা । কেন মহাশয় ? বিধবা বিবাহ তো পরাশব সংহিতা, যা এই যুগের নিমিত্তে বিশেষ কোরে হয়েছে, তাতেই আছে। ন্যায়। এই, এতক্ষণের পর পণ্ডিত কথা কোয়ে উঠলেন। ঐ এক পরাশর সংহিতা ধোরে বোসেছে । এতকাল আর পরাশর সংহিতাও ছিল না, পণ্ডিতও ছিল না । অধুনা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিদ্যাসাগর মন্থন কোরে, এই পরাশর সংহিতা উখিত হয়েছে। তোমার বিদ্যাসাগবকে দশ বৎসর পাঠ দিতে পাবে, র্তার গুরুকল্পের ব্যক্তি এখনও