পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ka অমরনাথ । গোবিন্দ। ই, তা বাঞ্ছাবাম গোচেরঙলাক অনেক আছে। ধাঙড়বা যে মতি অপেক্ষা কুচ পছন্দ কবে। মোট ভজন গতিক মানুষ যাব, তারা যে কালিয়া কবাব অপেক্ষ পিঠে পরমান্ন অধিক পছন্দ কবে। এখন আপনি কি বলেন ? আপনি হোচ্চেন বিদ্বান, বুদ্ধিমান, আর কবিত। রসেও মুরসিক। আপনার কথাই মানি । অমৃত । আমরা যা বলি তার তো কিছু কথা হোচ্চে না। তোমাৰই বিবেচনা লয়ে বিষয। তুমি কি দেখলে বল । গোবিন্দ । আমার মতে এই যে যদি গ্রন্থ খুলে বোসে তাৰ লিখিত লক্ষণের সঙ্গে শুভঙ্কবেব অঙ্কের সঙ্কে তেব মত মিলিয়ে লওয়া যায়, তবে অমরনাথ বাবুব কন্যা অপেক্ষাও জমিদারের কন্যা সরেস বোলতে হবে । বিশ্ব ফলের ন্যtয ওষ্ঠ, খগচঞ্চ নাসা, ধনুৰ ন্যায় জ ইত্যাদি। কিন্তু রূপের যে অংশটিকে লাবণ্য বলা যায়, বাস্তবিক যেটি রূপের চৈতন্য পদার্থ, যাতে যত মনোনিবেশ কবা যায,ততই নূতন নূতন সৌন্দর্য্য লক্ষিত হয়, এ বিচারে চারুকমল নিরুপমা । যেমন কোন সুশিক্ষিত গায়ক গন্ধর্ব্ব বেদের নিয়মানুযায়ী রাগ রাগিণী, স্বব পট্‌বি, অনুলোম বিলোম, ইত্যাদি সকল শুদ্ধরূপে গান করে বটে, কিন্তু অপর এক ব্যক্তি তাদৃশ সুশিক্ষিত যদিও না হয়, তথাচ তার স্বাভাবিক স্বরের মধুবতা ও শব্দের লালিত্য সহকারে মন মোহিত করে। বররুচিব কবিতা যদিও কালিদাসের কবিতা অপেক্ষ অলঙ্কার শাস্ত্র সঙ্গত হয, কিন্তু কবিতার যে রস মাধুরী সে কালিদাসের যেমন, বররুচির তেমন নয়। জমিদারের কন্যার প্রাধান্য বর্ণনীয় অংশে, আর অমরনাথ বাবুর কন্যার প্রাধান্য মনে বুঝতে পারা যায়, কিন্তু বর্ণনা করা যায় না। যেমন একটি মনোহর সরোবরে গিয়ে দেখা যায় যে কমল কুমুদ সকল বিকসিত হয়েছে, সুশীতল জলে মন্দ মন্দ বায়ু কর্তৃক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লহরী আন্দোলিত হোচ্চে, রাজহংস