পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ । \రి বিচরণ কোচ্চে, ভ্রমর সকল গুণ গুণ শব্দে মধুপান কোচ্চে, ইত্যাদি ষে সকল চক্ষু কর্ণের গোচর তা বলা যায়, কিন্তু ঐ সমুদয়ের অন্তর্গত যে একটি শীতল মাধুরী বিবাজমান আছে, যার দ্বারা মনে একটি সুস্নিগ্ধ ভাবের উদ্ভব হয়, সেটি অনির্ব্বচনীয়। গণেশ। তা যাক এখন তুমি ক্ষমা দাও। ভাই ভালই বল আর মন্দই বল, আমার তো এরকম টেনে টেনে শুষ্ট-টু-ধ কোরে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা একটুও ভাল লাগে না । যেন জ্যাঠার মত। গোবিন্দ । ( স্বগত ) ৫ মিষ্ট নাহি লাগে গুড় অশ্বের বদনে । * অস্থত। না না, বলুক বলুক। মুখুয্যে মহাশয় ৰল বল। (গণেশের প্রতি দৃষ্টি করিয়া যেন রোস, মুখুয্যের তামাসা দেখা যাক, এই ভাবে ইঙ্গিত করা । ) গোবিন্দ । আর কি বোল্ব ? এই তো শুনলেন। অমৃত । কি শুনৃলেম ? তুমি কোথায় দাড়য়ে ছিলে, চারু কোথ ছিল, তার রূপই বা কেমন, এ সব ভাল কোরে বল। গোবিন্দ । আমি দীড়িয়ে ছিলেম তাদের সেই ডগ্‌ কার্ট গাড়ী যাতে তার স্কুলে যায়—তাতেই এসে ছিল—সেই গাড়ীর কাছে। চারুর নিজ ডাইনে। অনেকেই সেখানে ছিল। সং দেখে কে ? নিজে সব সঙের মন্ত ঐদিগে চেয়ে চক্ষু স্থির। স্থর্যমুখী ফুল যেমন যে দিগে যখন স্থর্য্য যায় তখন সেই দিগে ফেরে, তেমনি চারু যখন যে দিগে মুখ ফেরাতে লাগল, সকল চক্ষু তখন সেই দিগে ফির্ত্তে লাগল। জমিদারের মেয়ে তো আপাদ মস্তক পর্য্যন্ত এত গছন পোরে এসে ছিল, কিন্তু সে দিগে কেউ ফিরেও চায় নি। এমনি বোধ হয় যেন আর কোন দিগে চাইলে সে সময় টুকু লোকসান হয়। অমৃত । তা চারু কিছু গহনা পরে নি ?