পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ই অমরনাথ । গোবিন্দ । একখানি বেগুণি রঙের বুটদার চেলি পরা, আর ঐ রঙের সাটিনের একটি কোরত। গায়। আর গহনার মধ্যে হীরের চিক গলায়, কাণে দুটি ইয়ারিং তাতে হীরের দুল লাগান, আর মুগাছি হীরের বাল, এইমাত্র। বর্ণটি প্রায় ইংরাজের ন্যায় । ওষ্ঠাধর যেন দুটি মন্দার ফুলের পাবড়ি, আবার বাভাবি লেবুর রোযার মত যেন রসে টল টল কোচ্ছে, আর ঐরূপ চিক চিক কোচ্ছে। উপরের ওষ্ঠটি যেমন—অমৃত বাবু আপনি একখানি ইংরাজী গ্রন্থে সে দিন র্ষে অতি সুত্র একটি কি চিহ্ন দেখিয়ে ছিলেন তাকে কি বলে ? অমৃত । ই ই ই, ব্রেস –এই --~ ( পকেট বই পেনসিলে লিখিয়া প্রদর্শন ) গোবিন্দ। ই ই ঐ, যেন হিস্কুলের অমনি একটি। ওষ্ঠের অন্তভাগ দুটি ঐ রূপ ঈষৎ বক্র হয়ে উদ্ধ মুখ ছয়েচে । দস্তগুলি যেন দুসারি উত্তম পালিস করা উজ্জ্বল হাড়ের বোতাম । নাসিক আর নয়ন যুগল যেন একটি মৃণালে দুটি নীল কুমুদকলি দু দিগে মুয়ে পোড়েছে। চক্ষু দুটি ঈষৎ মুদ্রিত আর অল্প রক্তবর্ণ ; যেন কঁচ ঘুম ভেঙে উঠেছে। তাতে সমুদয় চেহারাটির একটি অপূর্ব্ব কোমল ভাব হয়েচে । জ যুগল সম্পূর্ণ, কোন স্থানে নিবিড় কোন স্থানে বিরল তা নয়। যেন দুখানি ক্ষুদ্র তলোয়ার ; এই আমাদের শিরচ্ছেদনের জন্যে । কপালখনি যেন অৰ্দ্ধ চন্দ্র কেশগুলি কালে রেসমের ন্যায় যেমন কোমল তেমনি উজ্জ্বল। দুদিগে পাচটি ছটি কোরে জোলফের লহর অমনি আকুঞ্চিত হয়ে হয়ে পোড়েচে । সেই গুলি যখন বাতাসে উড়ছে, তখন ঐ হীরক জড়িত ইয়ারিণ দুটি ঝকুঝঙ্ক কোরে বেরিয়ে পোড়ুচে, ষেন নিবিড় জলধরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে । জোলফ গুলি উড়ে উড়ে গণ্ডের উপর পোড় চে আবার সরিয়ে সরিয়ে দিচ্চে, আবার গিয়ে পোড় চে । তারা যেন ভ্রমরের শ্রীক পদ্মের উপরে গিয়ে