পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/৫৩

越学 অমরনাথ { ন্যায় মিথ্যা । এতে না আমার নিজেব, না স্ত্রী পরিবাবেব, না দেশেব কোন লাভ আছে। আমার এক্ষণে শুভদৃষ্টেৰ বিষয এই যে আর সকল লোক যেমন স্বভাৰে মরে, তেমনি মরি, যেন পথে ঘাটে মাতাল হযে পোডে না মরি। আর আমার এই শরীরশেয়াল শকুনিতে এখান থেকে ওখানে ওখান থেকে অন্য স্থানে টানাটানি না করে । আর আমার অস্থি দেখে ( রোদন করিতে কবিতে ) লোকে না বলে যে অমুক মাতাল এই খেনে পোড়ে মরেছিল তার হাড় আর মাথা ঐ ! ( রেদিন ) গোবিন্দ । অস্থত বাৰু ক্ষান্ত হোন, নেসার সময় যত কঁাদৰেন ততই কান্না বাড়বে। গণেশ । ওকে এক গেলাস দীও । গোবিন্দ। (মদ লইয়া) মহাশয় এই গেলাস্ট নিন দেখি । অমৃত । বোস, রোস, একটু মনের বেগট থামিয়ে নি। শীতল। মদের নেসা হলে আমি দেখিচি অনেকেই কাদে । গোবিন্দ । স্থা, সেতে। আছেই । কঁাদে, হাসে, গীত গায । অর্থাৎ যে ভাবট যখন লেগে যায তাতেই তখন মেতে ওঠে। কিন্তু অমৃত বাবুব স্থদ্ধ ভ" নয় । তবে সহজ অবস্থায় এত হোত না । ওঁর মনের ক্লেশটাও অতিশয় প্রবল। হঠাৎ সেই সম্বন্ধে কথা পোড়েছে আর ষেন মেগ্‌জিমেব ঘবে এক ফুলকি জাগুণ পোড়েচে । যেমন শরীরের একটা স্থানে যদি অপবিমিত বেদন থাকে সে স্থানটাতে দৈবাৎ একটু আঘাত লাগলে সর্ব্ব শরীব অস্থির হয়, তেমনি মনেরও বেদনার বিষয় আছে, তাতে কোন ভাবের স্বারা বা কথার আভাসে আঘাত লাগলে মন ব্যাকুল হয়ে পডে। অমৃত বাৰু তবে নিন, গেলাসটা অনেকক্ষণ ঢাল রোয়েচে, খাবাব হয়ে যtয় । অমৃত । ( চক্ষু মোচন করিয়া ) সকলকেই এক এক গেলাস দাও, একা আমি খেলিই হুয, এমন না । so