পাতা:অমরনাথ (কৃষ্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অমরনাথ । শুনৃতে পাই ধে উীর দাদা ষাড়েশ্বর বাবুর কাছে টাকা পাঠয়ে থাকেন। তবে কি সেটা মিথ্যে ? ন্যায়। মিথ্য সত্য যম জানেন, আর তিনিই যদি একটু অনুগ্রহ করেন, তবে আমাদেরও জাম্বার সম্ভাবনা হয়। মতি । হাঃ হাঃ সেকি মহাশয় ? তার কাছে কি পান না ? ন্যায়। পাওয়া দূরে থাকুক চাওয়ার যে নেই। শুনিছি কোন দেশে এক প্রকার সর্প আছে তার পুচ্ছ দেশে কি একটা বস্তু আছে, তদ্বারা শব্দ হয় । যখন কোন জীৰ তার নিকটবর্ত্তী হয়, তখন সেই শব্দ করে। সেই শব্দ সেই জীবের কর্ণকুহরে প্রবেশ কোরলেই তার স্পন্দ রহিত হয়, পরে সেই সৰ্প তাকে আহার করে। ইনি সেই । এর কাছে চাইতে গেলে ষে এক ধমক দেন তাতেই আমাদের হস্ত পদাদি অবশ হয়। উলি তো হয়েচেন জমীদারের বাড়ীর প্রধান কর্মচারী। সেই জন্য এ জমীদারের দৌরাত্ম্য এত বৃদ্ধি হয়েচে । অন্যান্য অনেক জমীদার তো আছেন। এই বৰ্দ্ধমানের রাজা ভূকৈলাসের বাজা প্রভৃতি, এদের তো কিছুমাত্র দৌরাত্ম্য শুনৃতে পাই না। কিন্তু আমাদের যেমন জমীদার তেমনি কর্ম্মচারী। এ কর্মচারী যদি না যুটুতেন, তবে বোধ করি এতদুব হোত না । দুর্য্যোধনের মন্ত্রী যদি শকুনি না হোত তৰে তাঁর এত অত্যাচাব হোত না । এই জন্য জমীদার অপেক্ষা ও কে লোক অধিক ভয় করে। পশ্চিম দেশে রামের অপেক্ষ হনুমানের মান্য অধিক । হনুমানের প্রতি, মূর্ত্তি, হনুমানের পুজাই ধুম ধাম অধিক। (সকলের হাস্য ) (ষাড়েশ্বর মিত্রের প্রবেশ । ) ষাঁড়ে। কি ন্যায়বাগীশ ঠাকুর । আমাই ব্যাখ্যেনাট ছোচ্চে বুঝি ? ন্যায়। ( চমকিয়া উঠিয়া ফিরিয়া র্যাড়েশ্বরকে দেখিয়া ভয়েতে আকুল