পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ। জীবনের জামালজড়িত সাধুতার উত্তম পুরস্কার লইয়া জননীরূপে ঘাৱে দণ্ডায়মান। তাই আজি, সরস্বতী স্বরূপে সকল দিক আলো করিয়া মাতৃ আদেশে অমর কুমারের চরণ প্রান্তে প্রণাম করিয়া দাড়াইয়াছে, তাই আজ, সে বালিকা শয্যাপ্রান্তে বসিতে না বসিতে, অমরের হৃদয়ের পর্দায় পর্দায় তাহার লহরী উঠিয়াছে, অমর কুমার অবসর - পাইবা মাত্র তাহার কচিকোমল হাতখানি ধরিয়া তাহাকে নিজের নিকটে আনিয়া বসাইল। তাহার সে সমাদরে অবসন্নতা, তাহার বাল্য জীবনের ‘’ জমপুকুর ” ও “ সেঁজুতি ” ইত্যাদি বালিকাসুলভ কুমাৰীব্রত নিয়মের ফল বল, আর স্পোহার। পূর্ব্বজন্মের স্বতন্ত্র ভাগ্যলিপিই বল, সে অবসন্নতার সৌন্দর্য্য তাহার নিজের নিকট ভোগের বস্তু, আর গ্রীতিপূর্ণ দৃষ্টিতে জগতের লোকের তাহা দেখিবার জিনিস। যে তাহার স্পর্শ পায়, সে যেমন নবীনে সজীব হইয়া উঠে, যে দেখে সেও সে দৃষ্টি-সুখে সজীব হইয়া উঠে। আজ অময় কুমারের সমাদরে সরস্বতী আপনাকে হারাইয়াছে, অমর কুমারও সরস্বতী সম্ভাষণে আপনার পুরাতন পরিত্যাগ করিয়া সম্পূর্ণ নুতনে গড়িয়া উঠিবার উপকরণ লাভ করিয়া ধন্য হইল । সরস্বতীকে মায়ের কাছে যাইবার অনুমতি দিয়া, তাহাকে মধ্যে দুই এক পদ অগ্রসর হইতে দিয়া, অমর কুমার পুনরায় তাহাকে খলিল, আবার কি বলিল, আবার আদর করিবার ইচ্ছ, তাহাকে ফিরাইয়া আনিয়া শয্যায় বসবে, éमन বাহিরের । चाहब कर्विक চন্দ্রের কণ্ঠস্বরা শুনিতে পাইয়া চাহাকে ছাড়িয়া দিল । ভিতর দিক