পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার পর শনিবার, সে যে অনেক দিন, এই এত দিন ফুলবাগানের দরজার দিকে হা করে তাক’য়ে বসে থাকতে হবে ? এ বড় কঠিন কাজ, আবার তার উপর দিদির দৌরাত্ম্য আছে, পাড়ার সঙ্গীদের অমলা, সরলা, জয়া, জয়ন্তি ত জানিয়াছে, যে গুলা বাকি আছে, সবগুলো মিলে আমাকে পাগল করবে দেখছি। পাগল করুক, তাতে দুঃখ নাই, এখন দেখা হ’লে বাচি । কি সুন্দর মুখ, কেমন বড় বড় চোখ, কোমল সুন্দর মিষ্টি কথা ! সে মুখের সে কথা এখনও যেন কাণে বাসীর মত বাজতেছে, যেন শুনতে পাচ্ছি। আঃ • কি ভাল ! * লক্ষ্মী আস্তে আস্তে বাহিরে আসিয়া ছোট বোনটির গলা জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, “আমার উপর রাগ ক’রে চলে এলি ? তোকে রাগুয়ে, তোকে বিরক্ত করে, আমার কত ভাল লাগছে, তা কি তুই বুঝিস, ? তা যদি বুরুতিস ও তা হ’লে আর আমার ” উপর রাগ হ’তে না ।” ,“* ,幻 এইবার সরস্বতী বাগে পাইয়া বড় বোনকে খুব সমাদরে জড়াইয়া ধৰিয়া, বলিল - “ওরা বলে বলুক, তুই কেন বাঘবি ?yদুই ওদের সঙ্গে ৰোগ দিলে, আমার প্রাণটা কেমন আরও বেশী বেয়ী আনচান করে । কি বেন কি একটা, পেতে পেতে-পেলুম না, হান্বয়েছি বলে, নিয়ন্ত জল পিপাসা লাগিতেছে, তার পর আবার কবে পাবো, তা ভেবে আরও কষ্ট বাড়তেছে, তার উপর বাক্যগঞ্জনা আমাকে আজ সমাপ্ত দিন অস্থির করিয়া তুলিয়াছে, তার পর । আর একটা কথা, সে কথা আর আনি তোকে বোলতে পাবে। on