পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ । বিশেষতঃ জামাইয়ের সামনে তাহার পিতৃলিন্দা গৰ্হিত কাজ। তিনি যাহাই করুন, তিনি তোমাদের পুজ্য ব্যক্তি। তােহাৱা হয়ত ওরূপ করার যথেষ্ট কারণ আছে।” অমর কিছুই বলিল না, শ্বাশুড়ীর রায়ে রায় দিয়া মনে মনে বলিল “পিতা স্বৰ্গঃ, পিতা ধর্ম্মঃ পিতা হি পয়ষািস্তপঃ। পিতরি গ্রীতিমাপয়ে প্রিয়ন্তে সর্ব্ব দেবতাঃ ॥* আর কার্ত্তিককে বলিল, “আমার নিকট বাবার কাজ সমালোচনা বা বিচার্য্য হইতে পারে না ।” ংসারে নানা শ্রেণীর উদ্যমশীল কর্ম্মপরায়ণ লোক দেখিতে পাওয়া যায় । জন সমাজে সর্ববাদীসম্মত সদনুষ্ঠান কোন দিন সম্ভবপর হয় নাই। দশজনে যে কাজকে ভাল বলে, অপর দশজন ণে কাজের ছল ধরিয়৷ সেটার মূল্য ও মর্য্যাদা হীন করিবার প্রষাস পায় । জনসমাজের পনের আন কাজ এই ভাবে পরিচালিত ও পরিসমাপ্ত হইতেছে। যে শ্রেণীর লোক কোন সৎসাহসের কাজে, সমাজের কোন কল্যাণকর কাজে, সর্ব্ববাদীসম্মত বাহবার উপর নির্ভর করিয়া কাজে প্রবৃত্ত হইতে চায়, তাহদের আর এ মর্ত্যবাসে সামাজিক কল্যাণের পথে, সৎসাহসের পরিচয় দেওয়ার সুযোগ আসে না। এই জন্য, জনসংপ্যাহিসাবে সংসারে অল্প লোকই, স্বৰ্গীয় মিত্র মহাশয়ের • হ্রস্তায় ৰীলোচিত ভাষায় আপনার মনের ভাব ব্যক্তি করিবার ও তদনুরূপ * কর্ম্মানুষ্ঠানের পৃষ্টপোষকতায় অগ্রসর হইবার উপযুক্ত বলবীর্য্য ধারণ করেন। তাই কালক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে অসামান্য গুণসম্পন্ন বিন্যাসাগরের বরণীয় নামে, সমগ্র ভারতবাসী SUS