পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচেছদ । লেন “এখন তুমি সর্ব্বদা দেখা সাক্ষাৎ করিয়া উহার মনের ভাব জানিবে এবং সুবিধা পাইলেই পরামর্শ দিয়া যাহাতে এই বিবাহ করে। সে চেষ্টা করিতে হইবে। এ বিষয়ে উদাসীন হইলে চলিবে না । একটা গুরুতর ভাবনা সম্মুখে বর্তমান ।” 鸭 অমর কুমার ঐ দিন সন্ধ্যার পর আহারাস্তে কেমন একটা অনির্দিষ্ট জড়ত জড়িত মনের আন্দোলন লইয়া গড়পাড়ে কাধিক চন্দ্রের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলে । অমর কুমার গিয়া দেখে কার্ত্তিকচন্দ্র আহারে বসিয়াছেন, অমর কুমার একবার নিদ্রিত পুত্রের মুখের দিকে মোহভরে তাকাইয়া তাকাইস্কা একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া নীরত্বে কার্ত্তিকচন্দ্রের আহারের পাশ্বে গিয়া বসিল । শ্বাশুড়ী জিজ্ঞাসা করিলেন “খাওয়া হইয়াছে, না খাবার বোগাড় করবো ?* অমর বলিল “না যোগাড় কর্তে হবে না, পেয়ে এসেছি ; আমি আজ রাত্রিতে কার্ত্তিকের কাছে থাকবো, ওর সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।” জামাই বাড়ীতে আসিয়াছে, আজ নিজে উপযাচক হইয়া শ্বশুরালয়ে থাকতে চাহিতেছে, আজ ঘর অন্ধকার, আজ সরস্বতী নাই। দুঃখিনী জননীর চক্ষের জল আর চক্ষু গহবরে রহিল না, তাহারা প্রবল বেগে ভাগীরণী ধারার কৃষ্ঠায় প্রবাহিত হইয়া র্তাহার দৃষ্টি রোধ করিল। তিনি অশ্রু জল মোচন করিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন “বেশ বাবা, থাক না ।” আর কয়েক দিন হইলে, সরস্বতীর স্বৰ্গারোহণ দিন আসিবে। প্রায় এক বৎসর পূর্ণ হইতে যায় সরস্বতী চলিয়া গিয়াছে। এই এক বৎসৱ লগীয় সকল সুখ সকল শান্তি কে যেন বলপূর্বক হরণ Ve 。