পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♥N¥ቑ-፵፬*፲ ! করিয়াছে। সে হাসে না, এই এক বৎসর সে সৃদি কখন হাসিয়া থাকে, তবে ঐ শিশুর লালন পালন ও রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে তাহার প্রতি একটা অসঙ্গত মোহসভূত স্নেহের টানে শিশুর হাসির প্রতিধ্বনি করিয়া কখন কখন তাহার মাকে শুনাইয়াছে। তা ছাড়া সে হাসে না, সে আর পূর্বের ন্যায় প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে না, সে ভাল ক’রে নায় না, খায় না, মাথার চুল অযত্নে নষ্ট হইতেছে, চুল বঁধে না । এক প্রকায় সন্ন্যাসিনীর ন্যায় জীবন যাপন করে, এমনইভাবে ছেলেটিকে নিয়ে দিনের পর দিন কাটাইয়া দিতেছে, কেহ সাহস করিয়া তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসাও করে না । লক্ষ্মীর জীবন এই ভাবে সহোদরা-শোকে, মাতৃহীন শিশুর পালনে পর্য্যবসিত হইতেছে! সরস্বতীর মৃত্যুর পর, লক্ষ্মী ভ্রম ক্রমেও কোন দিন, অমর কুমারের সম্মুখে আসে নাই, তাহার সঙ্গে একটিও বাক্যব্যয় করে নাই। লক্ষ্মীর বাহিরের বাচালতার মৃত্যু হইয়াছে, শোকবিন্ধ ও তাপদগ্ধ নারী-হৃদয় যেরূপ ভাবে গড়িয়া উঠে, লক্ষ্মী ঠিক সেই ভাবে গড়িয়া উঠিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে ংসারের সামাজিক সম্বন্ধজাত নানা খেঙ্গাল ও খেলার প্রতি তাহায় উদাস উপেক্ষার ভাব বৃদ্ধি পাইতেছে। এখনকার লক্ষ্মী এক অপুর্ব্ব দৃশ্য । জনসমাজে সাধারণত এই জাতীয় মানুষের বিচরণ দুর্লভ। পাঠক পাঠিক হয়ত মনে করিবেন, ব্রহ্মচর্য্যপ্রধান ভারতবর্ষের সর্ব্বত্র হিন্দু বিধবা মহলে, বিশেষ ভাবে বাঙ্গালা দেশে,এরূপ একনিষ্ঠ আদর্শ নারীজীবন দুর্লভ নহে, অনেক আছে, অসংখ্য আছে, অভাব নাই। বিধি নিষেধের শাসনাধীল ব্রহ্মচর্য্য আয় স্বেচ্ছায় ও

  • )ste