পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর্য-ধাম | আসিবার জন্য ব্যস্ত হইল। আমরকুমার ছেলে কোলে ভুলে লইতে না লইতে, তৃদিবস্থাপন্ন, লক্ষ্মী নতমস্তকে পলায়ন করিল। " লক্ষ্মীর আজকার অবস্থা, তাহাব দীর্ঘস্থায়ী বিষাদ রাশির মধ্যস্থলে, সারদ পূর্ণিমার মেঘমুক্ত জ্যোৎস্নার ন্যায় অমরকুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে বলিয়া, তাহার লজ্জা ও কুণ্ঠ অধিকতর প্রবলভাবে তাহাকে আক্রমণ করিল। সে জানে, সে কতটা দুঃখিনী, সে আরও জানে, সরস্বতীর অভাবে তাহারাজীবনের সুখ-স্মৃতি চিরতরে অন্তগত হইয়াছে, সে আর ৪ জানে, সরস্বতীর শিশুটি তাহাকে সম্পূর্ণরূপে তাহার নিজস্ব করিয়া ফেষ্টিয়াছে। এ সংসারে তাহার। আর কোন অভাব নাই । তাই ঐ শিশুর সমাদর সম্ভোগ জন্য তাহার আনন্দময়ী মূর্ত্তি অমরকুমারের দৃষ্ট্রিপথে পতিত হওয়া তাহার মতে ভাল হয় নাই ! এ আঘটনটা না ঘটিলেই ভাল হইত। যাহা হউক, লক্ষ্মী সেই যে, আবার লুকাটিল, আর অমরকুমার্থের সম্মুখে বাহির হইল না । কিন্তু তাহার শাস্ত স্থির চিত্তে আজ এক বৎসর পরে একটা উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করিল। উৎকণ্ঠ কেন ! পাছে অমরকুমার সেই বিরাহিণীর অন্তরের বিরহ বেদনায়-সহোদরা-শোকের তীব্রতায় সন্দেহ করে, পাছে তাহাকে কোন আকারে সুখী বলিয়া অনুভব করে। এই উৎকণ্ঠার ভাবে বেচারা আরও অবসন্ম হইয়া পড়িল । লক্ষ্মীর অজ্ঞাতসারে লক্ষ্মীর অন্তরে আরও একটা চিন্তার ইঙ্গিত যে অলক্ষিতভাবে খেলিল না, এমনও নহে, অমরকুমারের প্রতি, তাহার স্নেহ ভালবাসার বন্ধনও যে অল্প, তাহাও নহে, তাহার উপর খোকাটি সরস্বতীর হইলেও খোকা যে অমর কুমারের,এচিন্তাও লক্ষ্মীর እዓ¢a