পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 নিজেকে কথঞ্চিৎ মুক্ত ও সুখী বলিয়া অনুভব করিলেও, তাহার আজ আর সুনিদ্রা হইল না । আজ তন্দ্রা আসিলেই, সেই তন্দ্রাবশে শরতের তরল ও স্বচ্ছ মেঘমালার চঞ্চল গতির ন্যায়, " তাহার। তন্দ্রাজড়িত চিত্তাকাশে সরস্বতীর প্রসন্ন মুখখানি ভাসিয়া উঠিতেছে, আর সে তাহার পূর্ব আনন্দের ইঙ্গিত করিয়াই যেন, আদরের বো’ন লক্ষ্মীকে সতিনী সম্ভাষণে আদর করিতেছে, আর লক্ষ্মীর ঘুম ভাঙ্গিয়া যাইতেছে। এই ভাবে সমস্ত রাত্রিটি সরস্বতীর প্রিয় সঙ্গ সুখ, নানা ইঙ্গিতে লক্ষ্মীকে আনন্দের আভাস দিয়া চৰিয়া যাইতেছে। লক্ষ্মী মনে মনে অনুভব করিল, সে যে পথ অবলম্বন করিল, তাহাই উত্তম পথ । কার্ত্তিকচন্দ্র আমরকে বলিলেন, “ভাই ! এখন তুমি নুতন সংসার পাতিয়া বসিবার আয়োজনে এই সময় টুকু নিয়োগ কর। অমর কুমার বলিলেন, “ভাই! আমি গরীব লোক, তাতে মাতৃ পিতৃস্নেহে বঞ্চিত, আমার পক্ষে ভালই হইল, আমি এই চারি বৎসরে ক্রমে ক্রমে আমার সমস্ত গুছাইয়া লইতে পারিব। দুঃখ এই যে এই চারি বৎসর ও তৎপরে আরও কিছু কাল, মা বাপের সঙ্গে মিলিতে, ও তাহদের মেহ ভোগ করিতে পাইব না । বাবা অবশ্যই এ বিবাহে আমার উপর নূতন করিয়া আবার বিরক্ত হইবেন। কিন্তু নিরুপায় । এখন দেখছি, সংসারের ঘটনা সকলের উপর মানুষের কোন হাত নাই। তবুও মনে হয়, সাধনার দ্বারা সিদ্ধিকে অর্জন করিতে পারা যায়। প্রতিকুল দৈবকে অনুকুল করিয়া লইতেও সাধনার প্রয়োজন। বিনা সাধনায় কিছুই হয় না। R e o