পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ আদালতের বিচারে রবিবার অপরাহে পুলিশের অনুসন্ধানে পাথুরিয়া ঘাটার ঠাকুর গোষ্ঠীর শাখা বিশেষের বৈঠকখানা হইতে বাহির হইবার সময়ে অমর কুমার পুলিশোধ প্রাতে পড়িল । পুলিশ তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া মানিকতলার থানায় আনিল । সেখানে তাহার জমানবন্দী লইয়া, তাহাকে একেবারে আলিপুরের হাঙ্ক, শুধরে পাঠাইয়া দিল। সে বেচারা সে রাত্রির জন্য ফটকে আটক রহিল ; অমরকুমারের এরূপ বিপদ বার্ত্তায় তাহার বন্ধু মণ্ডলে বৈঠকে বৈঠকে টেলিফোণের সংবাদের মত প্রচারিত হইল। নরেন্দ্র, সুরেন্দ্র, গোপেন্দ্র, ফণীমোহন, কিশোরমোহন, কালীমোহন, কুঞ্জলাল, পান্নালাল, প্রিয়ালাল, ভগবতীপ্রসাশ, সতীপ্রসন্ন, রমাপ্রসন্ন, প্রভৃতি বহুমান্যগণ্য ব্যক্তির মজলিসে সন্ধাব সময়ে অমরকুমারের কুকীর্ত্তির ব্রটনা হইল। সকলেই একবাকে, তাহাকে গরীবের ছেলে বলে, সুচার স্থির করিয়া আপন আপন মহামূল্য মন্তব্য প্রকাশ করিলেন। বাবুদের উমেদার ও মোসাহেবরা এক এক ‘ পাত্র সুরার জন্য হাত সাড়াইয়া বলিল “মহাশয়! বেটা যেন বর্ণচোরা অব। খেতে মিষ্টি ।