পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es-4 ছোট হয়েও বুড়ে । আবার তুমিও তোমার বাবার চেয়ে অল্প। বয়সে বুড়ো হবে। এদেশে ভদ্রলোকেরা নিজেদের দোষে, আর বেশী বয়স পাবে না, কম বয়সেই সব ফুরিয়ে যাবে, সেকালেত একশ’র আগে কেউ মরুতেই জানস্কো না। " অমর কুমার ক্ষণকাল কি ভাবিতে লাগিলা দেখিয়া, জয়পাল বলিল, “বাবু, এই যে আমার হাতে হাতকড়ি ও পায়ে বেড়ী দেধিতেছি, আমি ইচ্ছা করলে এখােন তা ভেঙ্গে ফেলতে পারি, এই যে অবস্থায় আছি, একগাছ লাঠি পেলে, এই হাতের হাতকড়ি ও পায়ের বেড়া লইয়া, এই উঁচু পাচিল পার হ’য় বাইরে যেতে পারি, জেনে, আমার গায়ে এত শক্তি আছে।” অমর কুমার এই কথা শুনিয়া, একেবারে হতবুদ্ধি হইয়া বিহবল দৃষ্টিতে তাহার দিকে তাকাইয়া আছে দেখিয়া, জয়পাল আবার বলিল, “বাবু! তুমি হয়ত ভাবিতেছ। যে এটা বাজে কথা, তা না হ’লে আমি কেন সে রকম ক’রে পালাই না, কেমন, তাই কি ?” অমর কুমার নীরব । জয়পাল আবার বন্সিল, “পালিয়ে কোথায় যাব, এই ইংরাজের বাজ্যে, পালাবার জায়গা নাই, পুলিশ আমার ছবি উঠিয়ে রেখেছে, যেখানেই যাই না কোন ধবিধে, আর পালিয়ে লাভ কি ? আমার পরিবার, ছেলেমেয়ে এদের ত দেখতে পাব না, কেবল পথে পথে, জলে, জঙ্গলে লুকিয়ে বেড়াতে হবে, তা করে কোনও লাভ নেই। তাই তা করি না। বাবু! তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে, তুমি ভয় পেয়েছি, ভয় নেই, আমি ডাকাত নই, আমি দাসু্য নাই, আমার দেহখানা কেমন সবল, কেবল তাই বুঝাবার জন্যে তোমাকে بع