পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । অগরাধিনীরূপে আদালতে হাজির হইয়াছে। যে চরণ-পদ্ম চুরি গয়াছিল, তাহ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে, তথাপি সে অলঙ্কার এমন অবস্থায় ছিল যে, কনকপ্রভা অগহা তাহারই অলঙ্কার বলিয়া চিনিতে পারিল ও সনাক্ত করিল। কনকপ্রভার বিপদে ব্যথিত বাবুলের লোকজনে আদালত গৃহ পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। কলিকাতার কোন কোন লুক্ষপতি জমিদার নন্দন নিজ নিজ শকটে অবস্থানপূর্বক মামলার তদ্বিরে ব্যস্ত। সকলেরই চেষ্টা বৰ্দ্ধমানের গোলাপবাগের ফোট ফোট গোলাপ ঘুলোর মত কোমল সুন্দর কান্তিপুর্ণ কামিনীত্রয় কোন প্রকারে ক্লেশ না পায়, তাহদের ব্যাচাইতে আজ দু’দশ বা বিশ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করিতে বদ্ধপূরিকর, এমন লোকও আজ আদালতের আশে পাশে বর্ত্তমান। • প্রচুর অর্থব্যয়ে পোদ্দারকে হস্তগত করিবার চেষ্টা হইয়াছিল, কিন্তু সে ব্যক্তি নিতান্ত ধর্ম্মভীরু বলিয়া ও বিশেষ ভাবে সম্পূর্ণরূপে পুলিসের তত্ত্বাবধানে নজরবন্দী বলিয়া তাহার নিকট পৌঁছান ঘটে নাই, বাবুদের বহু চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে। আর এক কথা পোদায় গণেশালাল শীল দিন আনে দিন খায়। সামান্য কিছু মূলধন লইয়া কারবার করে, সে ব্যক্তি ধড়িবাজী ও বদমায়েসী, বা জাল জ্বাচুরির ধার ধারে না, সুতরাং তাহাকে দিয়া মামলাটা হালকা করিয়া দিবার জন্য বড় বড় উপরোধ অনুরোধ প্রশ্নসিপ্পাছে, পুলিন্সের পক্ষে দশ টাকা লাঞ্জে সুযোগ ঘটে নাই: "এখন নহে, কিন্তু কিছুতেই সুবিধার সম্ভাবনা হয়