পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

محصصوص><جچحح শেষ দিন কারাবাস অমর কুমারকে সে দিন কারাগারে ফিরাইয়া আনিবা মাত্র কারাধ্যক্ষ ও পাহারায় নিযুক্ত কারারক্ষীদল সমবেত হইল। কারাবাসীরাও যতদূর সম্ভব নিকটত্তর হইয়া, আদালতে অমর কুমারের কি হইল, জানিবার জন্য ব্যস্ত ও ব্যাকুল হইল। কারাধ্যক্ষ সকল কথা শুনিয়া বলিলেন, “স্তবে খুব সম্ভব, তুমি কাল খালাস পাবে।” 'কারাগারের চারিদিক যেন জাগ্রত, সজীব ও চঞ্চল হইয়া উঠিল। সবগুলি লোক যেন আগামী কল্য কোন একটা অমূল্য সম্পদে বঞ্চিত হইবে, যেন কোন জ্যোতিষ্কের আবির্ভাবে কোন অমূল্য নিধির আলোকে কারাগৃহের অবসাদভরা অন্ধকার কয়েক দিনের জন্য দূরীভূত হইয়াছিল, আবার “যে তিমিরে সেই তিমিরে” আচ্ছন্ন হইবে। এই ভাবিয়া সকলেই অবসন্ন হইয়া পড়িল। কয়েক দিনের জন্য প্রত্যেক কয়েদী দেহে প্রাণ পাইয়া যেন একটা নৃতন জীবন লাভ করিয়াছিল। আবার মরার মত, দিনের পর দিন জুঃখদখ স্নান জীবনের মুহূর্ত্ত গণনা করিতে করিতে পুর্ব্ববৎ জীবন স্বাক্কা নির্বাহ করিতে হইবে, এই ভাবিয়া কারাবাসীরা ব্যাকুল হইল।