পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é-* যেন ডাকিয়া বলিতেছে, আমাকে আগে দেখি । আগন্তুক কোনটা রাখিয়া কোনটা আগে দেখিবে, তাহ স্থির করিতে না পারিয়া, অভূতপূর্ব্ব আনন্দে ভোরপুর হইয়া অনির্দিষ্টভাবে চারিদিকে দৃষ্টিপাত করে। সে সৌন্দর্ঘ্য সম্ভোগ সম্ভব, কিন্তু কবির কাব্যে তাছা ফুটাইয়া তোলা কঠিন কাজ। সে বেশ দৃশ্যটুকু। প্রবেশ দ্বার হইতে গৃহের দ্বার পর্যন্ত গথের উভয় পাশ্বে রজনীগন্ধার শীষগুলি মস্তকে পুষ্পগুচ্ছ ধারণ করিয়া সন্ধ্যার পূর্বাহ্নে চারিদিকে আপন গন্ধ বিস্তারের আয়োজন করিতেছে । তাহদের পশ্চাতে পথের উভয় পার্থে নানা জাতীয় গোলাপের ঝাড়, মুকুল ও ফুলে সজ্জিত হইয় আপনার আনন্দে আত্মহারা । ইহার পর পথের উভয় দিকের ক্ষেত্রাংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চক্রে এক একটি মার্শালনীলের ও পরে পরে দুদিকে দুটি মাধবীয় মণ্ডপ, ঐ মণ্ডপ চারিটির চারিদিকে অন্যান্য নানা জাতীয় ফুল গাছের কেন্দ্র। ইহাদের পর একটু দুরে কঁঠালী চাপার কাটছাট বন । সে ব্যবস্থা-সো ব্যবস্থার অন্তরালে লুকাইত রুটিটুকু বড়ই চিত্তাকর্ষক । সে ব্যবস্থা হইতে, ঐ ক্ষুদ্র গৃহের রূচিপ্রবৃত্তিরও বেশ পরিচয় পাওয়া যায়। বাড়ীর দক্ষিণ দিকের সীমানায় পুর্ব ও পশ্চিম উভয় কোণে দুটি বকুল গাছ ধীরে ধীরে আপনার আয়তন বৃদ্ধি করিতেছে, আর প্রবেশ দায়ের উলম পার্শ্বে দুইটি স্বর্ণচম্পক, আর তাঁহাদের নিকটেই দুদিকে ফুট কামিনীর ঝাড়। : এতগুলি নির্ম্মল পবিত্র ও সংস্কর স্বগীয় দ্রব্যের মঙ্গ যাহার নিষ্ঠ্য নিত্য সম্ভোগ করে, তাহারা এই সংসারের অর্থসম্প্রদপুষ্ট

r.