পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম ১১ একটু বড় হতেই কি করে তাদের দুঃখ দূর করবে এই তার চেষ্টা হয়েছিল। তাকে স্কুলে কলেজে পড়াইনি, নিজে পড়িয়েছিলাম। ইংরাজী, বাংলা, সংস্কৃত, গণিত, ইতিহাস সব তাকে যতদূর আমার সাধ্য পড়িয়েছিলাম। শিক্ষার আলোেক তার সারা মনে কোন কুসংস্কার আনুতে পারেনি। শিক্ষা ছিল, কিন্তু তার মনে তার জন্য কোনদিন বিন্দুমাত্র অহঙ্কার আসেনি। অনেক খুঁজে ভগবানের দয়ায় তার উপযুক্ত পাত্রও পেয়েছিলাম। যেমন শিক্ষিত তেমনি মধুচরিত্র। তাদের দু’জনেরি এই জ্ঞান ছিল যে কৰ্তব্য শুধু ঘরের ভিতর সীমাবদ্ধ নয়, ঘরের বাহিরেও তার বহু স্থান। এমনি তাহার স্বভাব—এমনি তাহার মন যে, এখানে যেমন সে সকলের প্রাণ ছিল—শ্বশুরবাড়ীতেও ঠিক তেমনি হয়েছিল। শশুর শাশুড়ীর বৌমা-অন্ত প্রাণ ছিল ; দেওর ননদ ঠিক যেন ভাই বনের মত অনুগত ছিল। স্বামী ছিল তার সঙ্গে একেবারে অভিন্ন হৃদয়। এখান থেকে মাকে পাঠাবার সময় আমরা যেমন কাতর হতাম, শ্বশুর বাড়ী থেকে পাঠাবার সময়ে তার শ্বশুর শাশুড়ীও তেমনি কাতর হতেন। মায়েরও এমন কোমল মন ছিল যে, চোখের জল না ফেলে সে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে পারত না! সবাই তাকে ভালবাসতেন। তার ম্লানমুখ কারও প্রাণে সহ হত না। কিন্তু তবু তাকে আমরা দুঃখের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে কেউ পারিনি। | আশুবাবু এই পর্যন্ত বলিয়া মাধুরিমার তৈলচিত্রের পানে কিছু ক্ষণ চাহিয়া রহিলেন। চিত্রের দিকে চাহিয়া লতিকা সবিস্ময়ে ভাবিতে লাগিল এমন সৌভাগ্যবতী যে নারী তারও প্রাণে কিসের দুঃখ। • T =