পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ অমর প্রেম আশুবাবু আবার বলিতে লাগিলেন, মেয়েদের পড়াবার জন্য তার মনে বড় আগ্রহ ছিল। গ্রামের মধ্যে গরীব গৃহস্থের বাড়ী বাড়ী যেত। যারা মেয়ে তার সঙ্গে পাঠাত তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসত। যারা আসতে দিতে চাইত না, নিয়ম করে তাদের বাড়ী গিয়ে পড়িয়ে আত। তারপর সেই মেয়েদের কাছ থেকেই জানতে পারত কার ভাল খেতে পায় না, কার পবার কাপড় নেই, কার বাড়ীতে কোন কষ্ট-কোন দুঃখ আছে কি না। তার নিজের হাতে যে টাকাকড়ি থাকত তাই দিয়ে যথাসাধ্য তাদের দুঃখ কষ্ট দূর করত। কোনখান থেকে কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে এসে বক্ত—বাবা, ওদের বাড়ীতে এত কষ্ট! তার চোখে জল দেখে তাদের দুঃখ দূর করবার জন্য তখনি তার ইচ্ছামত কাজ করতাম। শ্বশুর বাড়ী গিয়েও তার এ অভ্যাসের পরিবর্তন হয়নি। সেখানেও সবাই তার এই অভ্যাসকে স্নেহের চক্ষে দেখতে লাগলেন। ঠিক এমনি করে মায়ের শ্বশুর বাড়ীতেও একটা পাঠশালা গড়ে উঠল। মেয়ে গুলি তাকে দিদি বলতে অজ্ঞান। | একদিন একটি ছােট মেয়ে তাকে বল্লে তার বৌদিদির মায়ের বড় অসুখ, তিনি নাকি বাঁচবেন না। বৌদিদি দুবছর বাপের বাড়ী যায় নি। বৌদিদির বাবা কতবার নিতে এসে ফিরে গেছেন। মা আর দিদি কিছুতে যেতে দেবেন না। বৌদিদি বলে দিয়েছে আপনি যদি একবার বলেন তাহলে যেতে পারেন। বৌদিদি দিন রাত্রি... একথা শুনেই মায়ের মুখ শুকিয়ে গেল। মেয়েটি চলে গেল। মাধুরিমা সজল চোখে শাশুড়ীর কাছে গিয়ে সব বল্লে। তিনি বলেন, এ কান্না কেন মা? কি করতে চাও তুমি বল। - - - -