পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম গরীবের ঘরে মেমসাহেবের মত বই পড়িলে চলিবে না। ইহার পর সুহাসিনী আর সে চেষ্টা করে নাই। সুহাসিনীর শ্বশুর তখন জীবিত। তিনি জমিদারী সেরেস্তায় টাকা কুড়ি বেতনে কাজ করিতেন। সুহাসিনীর ভাসুর মার্চেন্ট আফিসে ৬০ টাক মাহিনা পাইত। তখন ভাসুরের মাত্র দুইটি ছেলে হইয়াছিল-- সংসারও তেমন বড় ছিল না। বিপত্নীক শ্বশুর, ভাসুর, বড় মা ও তাহার দুই তিনটি ছেলেমেয়ে। ভাসুরের টাকায় সংসার চলিত, শ্বশুরের টাকায় মনােহরের পড়া চলিত। একটা প্রাইভেট মেসে থাকিয়া সে পড়িত বলিয়া ইতেই একরকমে চলিয়া যাইত। কখন কিছু কম পড়িলে দাদার কাছ হইতে মনােহর চাহিয়া ইত। সকলেরই আশা হইল, মনােহর বি-এ পাশ করিয়া একটা বড়গােছের কাজ পাইবে।। নােতর পাশও করিল ; কয়েকদিনের জন্য কিছু সমও বাড়িল । সুহাসিনী পর্যন্ত তাহার কিছু ভাগ পাইল, কিন্তু শেষ রক্ষা হইল না। | চাকরি পাওয়া কঠিন হইয়া উঠিল। কথায় বি-এ পাশ যুবকের * ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট হইতেও বাধা নাই, কিন্তু কার্যকালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের একটা ছােট কেরাণীর পদও দুর্লভ। অনেক চেষ্টা করিয়াও সুবিধামত তাহার কোন চাকরিই জুটিল না। সবডেপুটি সবরেজিষ্টার, সব-ইনস্পেক্টারের পদের জন্য বিস্তর চেষ্টা পাইল, কিন্তু কিছুতেই সে মােগাড় করিতে পারিল না। শেষে ডাকঘরে ঢুকিবার চেষ্টা করিয়া জানিল, বর্তমানে খালি নাই, খালি হইলে সংবাদ দেওয়া হইবে। সে সংব্যদ আর আসিল না। মনােহরের দাদা একদিন আসিয়া সংবাদ দিল নে, তাহাদের অফিসে একটা ৩০ টাকার চাকরি খালি আছে। গ্রাজুয়েটকে এ পদ দিবার