পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর থে তবে যদি সমান হতে পারি। তারপর টাকার দরকার। টাকা না হলে কিছুই নয়। | নাহরি। টাকার দরকার বটে মাষ্টার মশায়। কিন্তু ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে টাকা করতে বেশী দিন লাগে না। আমি আমার মামার কাছে একটা টাকা নিয়ে ব্যবসা সুরু করেছিলেন। সেই টাকাতে চিনি, মিছরি, ই’চার রকমের মশলা এই নিয়ে এখান থেকে দু’তিন ক্রোশ দূরের পাড়াগাঁয়ে যেতাম। গাড়ি পারা ছিল না, মশলার একপয়সার করে পূরিয়া রাত্রিযােগে বেঁধে রাখতাম। মনে আছে দু’ আনার মরিচ কিনেছিলেন; সেই মরিচ বােল পূরিয়া করেছিলেম ; এক এক পূরিয়া এক পয়সা। চিনির জ একটা ছােট বাটি রেখেছিলাম—এক পাত্র এক পয়সা। সে রাতে পূরিয়া করে রাখতেন। পাড়াগাঁয়ে দুয়ারের সামনে পেয়ে সবাই প্রায় ২১ পাস করে জিনিস কিনলে। প্রথম দিনেই আমার ১১ টাকার জিনিষ ২১ টাকায় বিক্রি হ’ল। সে সব গ্রামে হরীতরকারি সত্তা বিক্রী হত ; পটল নয় অবিভি। লাউ কুমড়া এই মৰ। আনা আষ্টেকের তাই কিনে আনতাম। এ গ্রামে তাই অন্ততঃ ‘লো দামে বিক্রয় করতাম। এই রকম খাওয়া খরচ বাদে মাস কয়েকের মধ্যে আমার হাতে ১•• একশত টাকা হল। তখন পাড়াতে হােট একখানা মুদিখানার দোকান দিই; আর বাড়ীতে যেটুকু জমী ছিল তাতে লাউ কুমড়া বেগুন এই সব লাগাতাম। দোকানে তাও রাখতাম, বারের চেয়ে সয় না হলেও অন্তত সমান দরে দিতাম। পাড়ার সেরে যাদের বাড়ীতে পুরুষ নেই তারা আমার দোকান থেকে নিতেন। ভারপর দােকানের মাল ছাড়া হাতে যখন শ পাঁচেক টাকা এনে, তখন ওই মতি র দোকানের কাছাকাছি মুদিখানার দোকান দিই। তারপর - -