পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ অণর প্রেম অমর। আপনি স্যার হাতমুখ ধুয়ে আসুন। আমি বসে আছি। মনােহর হাত মুখ ধুইতে গেল। ঘূথিকা খবর দিয়া গেল, খাবার দেওয়া হয়েছে। যখন রান্নাঘরের কাছাকাছি মনােহর পৌছিয়াছে, রামপ্রসাদ ভিতর হইতে বলিল, মা, আর রুটি নেই ? সুহাসিনী উত্তর দিল আর তত বেশী নেই বাবা—সবারি জন্য দু-দুখানা আছে, তা তুই আর একখানা নে। রামপ্রসাদ বলিল, না মা, আর খাব না। দিদিদেরও ত খিদে লাগবে। বরং সকালে সকালে ভাত দিও’খন। আর আজ আমি স্কুলে দু’পয়সার খাবার খেয়েছি। আমি বল্লাম খিদে লাগেনি, বাবা তবু নলেন না। এতদিন পরে আজ খাবার দেওয়ার কারণ সুহাসিনী বুঝিল, কিছু বলিল না। এমন সময়ে মনােহর ঘরের মধ্যে আসিলেন। তাহার পাতেও দুখানা রুটি ও একটু তরকারি ছিল। রামপ্রসাদ উঠিয়া যাইতেছিল, মনােহর তাহাকে বসিতে বলিয়া পাত হইতে একখানা রুটি ও একটু তরকারি তুলিয়া দিল। রামপ্রসাদ ব্যস্ত হইয়া বলিল—বাবা, আমি যে এইমাত্র খেয়ে উঠছি। আমাকে আবার কেন দিলেন ? মনােহর গম্ভীর মুখে বলিল—তুই খাতে বাবা, বেশী বকিনে। ছেলেমানুষের বেশী বা ভাল নয়। রামপ্রসাদ অত্যন্ত ক্ষুন্ন হইয়া খাইতে লাগিল—সে খুব ধীরে ধীরে