পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম ૧૯ সেদিন তিনি নাম মাত্র আহারে বসিলেন। যাহা পারিলেন দুই মুঠা মুখে দিয়া উঠিয়া পড়িলেন। এইবার স্থির করিলেন আর এক মুহূর্ত সময় অপব্যয় করিবেন না। তাহার পর লেখা লইয়া সিলেন। | ছত্রের পর ছত্র লিখিয়া চলিলেন। যে বেদনা তাহার অন্তরে দারুণ দুঃখ দিতেছিল তাহাই আজ তাঁহার লেখাকে সহজ সুন্দর ও সরল করিয়া তুলিতে লাগিল। যে ইতিহাসকে তিনি চিরদিন খণ্ড বিখণ্ড ও ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে না করিয়া সমাজের ও দেশের ক্রমােন্নতির ধারাবাহিক বিবরণ—কত শত সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনাদির অন্তর্নিহিত নাতিগর্ভ বিরাঢ় সত্যের মনােজ্ঞ কাহিনী বলিয়া মনে জানিয়া আসিয়াছেন তাহাই আজ অত্যন্ত চিত্তাকর্ষকরূপে তাহার মনােমাঝে উদিত হইয়া মধুর ভাষার বন্ধনে ধরা দিতে লাগিল। দিন শেষ হইয়া গেল। তবু লেখার বিরাম নাই। দীপ জ্বলিল, প্রাঙ্গণে শঙ্খধ্বনি উঠিল। আকাশে একে একে নীল উজ্জ্বল তারাগুলি ফুটিতে লাগিল, তথাপি মনােহর একটি বারের জন্যও লেখা হইতে বিরত হইলেন না। এক একবার বড় ক্লান্তি আসিলে মনােহর ক্ষণকালের জন্য উঠিয়া কক্ষের মধ্যেই পদচারণা করিয়া লইলেন। আবার একটু পরে লিখিতে বসিলেন। রাত্রি ১০টা বাজিয়া গেল। লতিকা আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, বাবা, খাবার দেওয়া হবে ? | মনােহর বলিলেন, আমার খাবারটা এই ঘরেই ঢেকে রেখে তােমরা খেয়ে নাওগে। আমার খেতে আজ অনেক রাত হবে।