পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 1 ১২ ] কিছুক্ষণ পরেই সুহাসিনীর নিদ্রাভঙ্গ হইল। চাহিয়া দেখিলেন, মুক্ত দ্বার দিয়া গৃহমধ্যে দিনের আলােক আসিয়াছে, টেবিলের উপর প্রজ্বলিত আলােক ম্লান হইয়া আসিয়াছে, আর স্বামী তাহারি কাছে মাথা রাখিয়া পড়িয়া আছেন। প্রথমটা মনে হইল বুঝি সারারাত্রি লিখিয়া ক্লান্ত হইয়া এইভাবে বিশ্রাম করিতেছেন। সুহাসিনী আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিলেন, দেখিলেন স্বামী সেই ভাবেই পড়িয়া রহিলেন। ভাবিলেন, এই ভাবেই নিদ্রিত হইয়া পড়িয়াছেন। মনে অনুশােচনা জন্মিল—কেন সারারাত্রির মধ্যে একটিবারও স্বামীকে ডাকেন নাই। সুহাসিনী উঠিয়া ধীরে ধীরে স্বামীর পাশে আসিয়া দাঁড়াইলেন। গায়ে হাত দিয়া ডাকিলেন, উঠে বিছানায় গিয়ে শােও, ওঠো, শুনছ ? পরক্ষণে দারুণ ও কঠিন সত্য বজ্রাঘাতের মত সুহাসিনীকে অভিভূত করিয়া দিল। ক্ষণপরে আর্তস্বরে চীৎকার করিয়া সুহাসিনী স্বামীর পদতলে মুচ্ছিতা সুইপড়িল। চীৎকারের শব্দে ছেলেমেয়েদের ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। লতিকা ও রামপ্রসাদ সর্বপ্রথম ছুটিয়া আসিল। পিতামাতাকে তদবস্থায় দেখিয়া তাহারা ক্ষণকাল স্তম্ভিত হইয়া রহিল। তারপর কঁদিতে কাদিতে দুই জনেই গায়ে হাত দিয়া গকিতে লাগিল। অল্প আ৩ic২ দুইজনে