পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - ৮ | অমর প্রেম আয়ের ব্যবস্থা হইল। ইহাতে কষ্টে-সৃষ্টে সংসার চলিতে পারে বটে, কিন্তু ১০ টাকা বাড়ীভাড়া দিয়া থাকা সম্ভবপর নহে। তাহার উপর নিজেদের যে রকমই হউক একটা বাড়ী থাকিতে এ অবস্থায় পরের বাড়ীতে থাকিয়া কি লাভ? ব্যয়-সঙ্কোচ চিরদিনই ছিল, এখন আরও সঙ্কোচ করিতে হইবে। চন্দ্রনাথবাবু দেশে গিয়া থাকিতে পরামর্শ দিলেন। সুহাসিনীও তাহা যুক্তিযুক্ত মনে করিলেন। অমরের ছুটিও ফুরাইয়া আসিয়াছিল। স্থির হইল অমর উহাদের দুর্গাপুর পৌছাইয়া দিয়া কলিকাতা যাইবে। মাত্র একজনের অভাবে আজ এত বৎসরের বাসস্থান—এতদিনকার গৃহ এমনি করিয়া চিরদিনের মত ছাড়িয়া যাইতে হইতেছে। কত আশা বুকে করিয়া সুহাসিনী এই গ্রামে প্রবেশ করিয়াছিলেন। সে আশার কতটুকু পূর্ণ হইয়াছিল—কতটুকুই বা অপূর্ণ ছিল তাহার হিসাব থাকিলেও যে নিরাশার মাঝে তাহাকে বিদায় লইতে হইতেছে তাহার যে শেষ নাই! হউক পরের গৃহ—তবু এই গৃহের মাঝে কত শত স্মৃতি জড়িত আছে। যে স্মৃতি তখন সুখের বলিয়া একটিবারও বুঝা যায় নাই। কিন্তু আজ তাহা হইতে দূরে আসিয়া সে তাহার সত্যকার মূর্তি দেখিতে পাইয়াছে। চোখের জলে ভাসিতে ভাসিতে সুহাসিনী সুবাসপুর ত্যাগ করিলেন। এতকাল পরে আবার সেই দুর্গাপুর ফিরিলেন। অমরের সহিত লতিকার বিবাহের প্রস্তাব যে চন্দ্রনাথবাবু খুব ভদ্রভাবে প্রতাখ্যান করিয়াছেন তাহা অমর ও লতিকা দুইজনেই জানিত ; কিন্তু এতদিন দুজনের কেহই সে প্রসঙ্গের কোন উল্লেখ করে নাই। দুর্গাপুরে একদিন থাকিয়া অমরের কলিকাতা যাইবার কথা। সুহাসিনীর অনুরােধে T