পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F । [১৫] সুহাসিনীদের বাড়ী আসা লইয়া মনােহরের দাদা কেদার ও তাহার স্ত্রীর মধ্যে বচসা হইয়া গিয়াছিল। কেদারের স্ত্রী আশঙ্কা করিয়াছিলেন যে ছেলেমেয়ে লইয়া সুহাসিনী আবার তাহাদের ঘাড়ে আসিয়া পড়িবে। কিন্তু বাড়ীতে আসিয়া যখন তাহারা শুধু তাহাদের বাড়ীর অংশ লইয়া পৃথক্ আহারাদির ব্যবস্থা করিল তখন অশান্তির আশঙ্কা অনেকটা কমিয়া গেল। এমন কি কেদারের স্ত্রী নিরাপদে এ কথাটাও কয়েকদিন বলিলেন, আগেকার মত এক সঙ্গে থাকলেই হত, বিশেষ যখন ঠাকুরপাে নেই। দু-পাঁচ টাকা যা আছে বাঁচত। মেয়েগুলাের বিয়েও দিতে হবে। সুহাসিনী অবশ্য সেটা মাত্র মুখেরই কথা মনে করিয়া লইয়াছিলেন এবং নিজের সংসার নিজেই কষ্টে-সৃষ্টে চালাইতে লাগিলেন। কাজেই সংসার অশান্তির হাত হইতে অনেকটা বাঁচিয়া গেল। | গােলযােগ ঘটিল লতিকাকে লইয়া। লতিকার বয়স সতেরাে পার হইয়াছিল ও সে ম্যাট্রিক পাশ করিয়াছিল। তাহার উপরে বিবাহের কোন কথাবার্তা হইতেছিল না। | প্রতিবেশীদের কথায় এবং স্ত্রীর গঞ্জনায় কেদার ২১টা সম্বন্ধ আনিয়া হাজির করিল। কিন্তু তাহারা আসিয়া শুধু মিষ্টান্ন খাইয়াই চলিয়া গেল। লতিকা কিছুতেই তাহাদের সম্মুখে বাহির হইল না। শেষে কেদারকে । । ।