পাতা:অমর ভূপালী - প্রচার পত্রিকা (১৯৫২).pdf/২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অমরভূপালী সারাংশ সার্থক কাব্য অমর হয়ে থাকে, কিন্তু অনেক সময় কবিকে সকলে ভুলে। যায়। “ঘনশ্যাম সুন্দর”—এই ভূপালীটি আজও মহারাষ্ট্রের ঘরে ঘরে গীত হয় । 'এই অমর ভূপালীটির রচয়িতা কবি হেনাজীর জীবন কাহিনীই এ-ছবির। আখ্যান বস্তু। প্রায় দেড়শ বছর আগের কথা – অবিরাম যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত মহারাষ্ট্রে শান্তি ফিরে এল। রণক্লান্ত মারাঠাজাতি ডুবে গেল আমােদ-প্রমােদ ও ভােগবিলাসেএমন কী তাদের পেশ ওয়া দ্বিতীয় বাজিরাও পর্যন্ত। কাজেই রাজধানী পুণার। শাসন কার্যে দেখা দিল শৃঙ্খলার অভাব আর শুরু হল গৃহ বিবাদ। এই সুযােগে পেশ ওয়া দ্বিতীয় বাজিরা ওর অধীনস্ত সুবেদার পেশওয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করল। আর সুচতুর ইংরেজরাও স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই গৃহবিবাদে। যােগ দিল। সে সময়ে মহারাষ্ট্রে শুধু অরাজকতা ও গৃহবিবাদই শুরু হয়নি, মারাঠাদের নৈতিক অধঃপতনও শুরু হয়েছিল, আমোদ-প্রমোদ ও ভােগবিলাসে আসক্ত হওয়ার জন্য। কারণ তখন আমোদ-প্রমােদ বলতে বােঝাত অতি নিম্নস্তরের এক রকম নাচগান—যাকে বলা হত “তামাশা”। যারা এই রকম নাচগান করে সবাইকে আনন্দ যোগাত, তাদের বলা হত “তামাশাদার”। “তামাশার বন্যায় সমস্ত মহারাষ্ট্র যখন ডুবে ছিল, তখন হােনা নামে সামান্য এক রাখাল ছেলে তার বংশগত প্রতিভাবলে ভগবদগীতি রচনায় মগ্ন ছিল। অথচ এই হেনার কাকা বালা-বহিরুই একজন নাম কর। “তামাশাদার ছিলেন। তামাশার দূষিত প্রভাব থেকে আজীবন দূরে রাখার জন্য, হোনার মা হোনাকে। নিয়ে পুণার কাছে সাসবড়ে নামে এক গ্রামে চলে যান। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আবার। তাদের পুণায় ফিরে গিয়ে কাকার কাছে আশ্রয় নিতে হয়। সেখানে গিয়ে হােন। যখন আত্মবিস্মৃত হয়ে ভগবদগীতি রচনায় মগ্ন ছিল, তখন হােনার জীবনে এল। একটি মেয়ে, বালা-কারনজকর নামে তার এক ‘তামাশাদার" গ্রাম। বাল্য বন্ধুর দৌলতে। তারপর............ ?