পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: না তরু, তোমার কথাবার্ত্তা চালচলন দেখে আমার বড় ভাবনা হয়। কারো না করে আশ্রয়ে মেয়েমানুষকে থাকতেই হবে, সবাই যদি তোমার কথা শুনে বিরক্ত श्रु তরঙ্গ আর তর্ক করে না, করে কাজ । সাধনা কাজের খুত ধরিলে নীরবে সায় দিয়া খুত সংশোধন করে। কিন্তু গভীর একটা জ্বালা বোধ করে তরঙ্গ, একটা অচিন্তিত আত্মাগ্লানি জাগে। এখন তার তপস্যার সময়, বিরাট এক ভবিষ্কৃতের জন্য নিজেকে সে তৈরী করিতেছে তবু, সাধনার মত মানুষকে এই সব তুচ্ছ ছোট ছোট কথাগুলিও যদি সে এখন বুঝাইতে না পারে, তপস্যা সাঙ্গ করিয়া সাধনার চেয়েও অপদার্থ হাজার হাজার মানুষকে আরও বড়, আরও ব্যাপক কথাগুলি সে কি বুঝাইতে পরিবে ? প্রতিদিন এত যে কষ্ট সে করিতেছে, শেষ পর্যন্ত হয়ত তার কোন ফলই ফলিবে না । মানুষের মধ্যে নিজে সে কেবল হইয়া থাকিবে অদ্ভুত, বেমানান। ভাতের হাড়িতে চাল দিয়া চিংড়ীমাছ সিন্ধ রাধিবার জন্য সরিষা বাটিতে বসিয়া তরঙ্গ এই গ্লানি ও হতাশার ভাব দমন করিবার চেষ্টা করে, এ চেষ্টাও তার তপস্যার S.