পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ এলুমিনিয়মের পাত্রে চিংড়ীমাছে মুন-মসলা মাখিতে মাখিতে বলিল, “আর কেউ এ রকম কবিত্ব করলে আমার গা জ্বলে যায়, কিন্তু তোমার মুখে শুনলে খারাপ লাগে না । কবিত্ব করাটা বোধ হয় তোমরে পক্ষে স্বাভাবিক অনুদা ।” অনুপম জামের বীচি উঠানে ছুড়িয়া ফেলিয়া বলিল, ‘কবিত্ব করলাম বুঝি ? কথাটা মনে হল, তাই বললাম।” “এ রকম কথা মনে হওয়া আর বলাকেই কবিত্ব করা বলে । সরল ভাবে কবিত্ব কর বলেই বোধ হয় তোমাকে সইতে পারি। তা ছাড়া, তোমার আশা আমি ছেড়ে দিয়েছি, তোমাকে দিয়ে কিচছু হবে না । দু’বছর ধরে বলে বলে তোমার সিগারেটটা পর্য্যন্ত ছাড়াতে পারলাম का !' অনুপম হাসিয়া বলিল, “তুমি বল বলেই একেবারে ছাড়ি নি। তোমার হুকুম শুনব কেন ?" তরঙ্গ মুখ তুলিয়া বলিল, “হুকুম আবার কিসের ? খুড়িমাকে এত হিসেব করে সংসার চালাতে হয়, তোমার একটা পয়সা নষ্ট করা উচিত নয় ।” “মার পয়সা তো নষ্ট করি না, আমার টুইসনির किश्न थीछे ।'