পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: শেষ হলে রোজ তিনবার করে সিনেমায় যাবে, আর যেই না এগজামিন শেষ হওয়া, পিকেটিং করে বাবু গেলেন জেলে! বুঝতে পারছি বেী, মানুষের মন কি রকম আশ্চর্য্য জিনিষ ? সাধ ছিল সিনেমা দেখার, সাধ মেটাল জেলে গিয়ে ।” দেখা গেল, শঙ্করের কীর্ত্তিতে সব চেয়ে বিচলিত হইয়াছেন রামলাল । রামলালের দোষ নাই। সেদিন সন্ধ্যায় রামলালও সেই হােটেলে ছিলেন-প্রায়ই থাকেন। ছেলেকে তিনি হোটেলে ঢুকিতে দেখিয়াছিলেন, “পেগ” টানিতেও দেখিয়াছিলেন । এ অবস্থায় বাপের পক্ষে একটু বিচলিত হওয়াই স্বাভাবিক। রামলালের অনুভূতি বড় ভোতা, মানুষটা তিনি তাই নির্বিবকার। এত বেশী নির্বিকার যে মদে তার না হয় নেশা, না জাগে বিকার । কেবল সাধারণ অবস্থায় কিছু ভাল-না-লাগা আর কিছু খারাপ-না- লাগার অস্বাভাবিক স্থায়ী সমন্বয়ের মধ্যে, কিছু ভাল-না- লাগাটা মদের শাসনে স্বাভাবিক হইয়া ওঠে,-তিনি মনে করেন, তাই তার পক্ষে যথেষ্ট বৈচিত্র্য, পরম লাভ। জীবনে তঁর কোন স্বাদ নাই, জীবনটা তাই Y 0 V9