পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: সাধারণভাবে বিস্বাদ করিয়াই তিনি কৃতার্থ-সকলের জীবন যতটুকু বিস্বাদ। এ বিষয়ে তিনি নিরুপায়। চামড়া যার এত মোটা যে, জীবন-দেবতার গায়ে হাত- বুলানি আদর টেরও পান না, প্রহার ছাড়া তার চলিবে কেন ? কিন্তু ছেলে মদ টানিতেছে, এ প্রহর নয়। কিছুক্ষণ। হতভম্ব হইয়া থাকিয়া সেদিন তিনি হোটেল হইতে বাহির হইয়া গিয়াছিলেন। যে উপায়ে নিয়মিত ভাবে জীবনটা তিনি যতটুকু বিস্বাদ করেন, কল্পনাতীত রূপে সেদিন তার চেয়ে বিস্বাদ হইয়া গিয়াছিল,—কড়া এবং ঝাঁঝাল। কতকাল পরে যে এ রকম কড়া ও ঝাঝালঙ্কষ্ট পাইলেন, রামলালের মনেও ছিল না। শঙ্কর তাকে দেখিতে পাইয়াছে কি না। এ বিষয়ে তার মনে সন্দেহ ছিল, শঙ্করের জেলে যাওয়ার খবরে এ সন্দেহ মিটিয়া গেল। একটু খুন্সীও তিনি হইলেন, তাকে দেখিয়াছিল বলিয়া নিজের অপকীর্ত্তির লজ্জা এমন প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল শঙ্করের যে, জেলে না গিয়া সে থাকিতে পারে নাই-এ যেন একটা সাস্তুনা, এ যেন একটা প্রমাণ যে শঙ্কর বেশী বিগড়াইয়া যায় নাই, এ যেন শঙ্করের পরোক্ষ ঘোষণা যে, আর কখনও এমন কাজ সে করিবে না । Se