পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

অমৃতস্য পুত্রাঃ কিন্তু এ সান্তর্ভুনা, প্রমাণ বা পরোক্ষ ঘোষণা রামলালের কাজে লাগিল না, এতকালের ভোতা অনুভূতি হঠাৎ বিদ্রোহ করিয়া তাকে অনভ্যস্ত কষ্ট দিতে লাগিল । এ কাজ শঙ্কর করিয়াছে কেন, একটি ছাড়া এ প্রশ্নের জবাব রামলাল খুজিয়া পাইলেন না। তঁর মত লোক যার বাপ, সে এই রকমই করে। জীব-জগতের নিয়মই এই ৷ শঙ্করকে তিনি দোষ দিতে পারেন না, জন্ম তিনি শঙ্করকে যেমন দিয়াছেন, মদের গ্লাস হাতে করার কামনাও তেমনই তারই দান । রামলাল নিজেও যেমন বাড়ীর মানুষগুলি সম্বন্ধে নিবিবকার, বাড়ীর মানুষগুলিও “তঁার সম্বন্ধে তেমনই উদাসীন। কিন্তু হঠাৎ রামলালের পরিবর্তন দেখিয়া বাড়ীর লোকে অবাক হইয়া গেল। সন্ধার আগে রামলাল বাড়ী ফেরেন, এ-ঘরে ও-ঘরে ছটফট করিয়া বেড়ান, যাচিয়া সকলের সঙ্গে কথা বলেন, নিজের সুখসুবিধার দাবী জানান, কারণে অকারণে রাগেন আর বকেন এবং পরীক্ষণে অনুতপ্ত হইয়া, বড় মানুষকে বকিয়া থাকিলে আদর করেন বাড়ীর কয়েকটি শিশুর যে-কোন একটিকে, ছোট মানুষকে বকিয়া থাকিলে বড় মানুষের যে-কোন একজনের সঙ্গে মিষ্টি করিয়া কথা বলেন G bzr