পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ षडू কিছু পড়িবার ও শুনিবার আছে সব। এরকম পড়াশোনায় গভীর চিন্তাও বোধ হয় দরকার হয়। সাত বছরের চিন্তায় কপালের রেখাটি তাই স্পষ্ট আর গভীর হইয়া কপালটিকে তার দু’ভাগে ভাগ করিয়া ফেলিয়াছে। মাঝে মাঝে বা হাতের তর্জনীর ডগা দিয়া রেখাটিকে তিনি এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত ঘষিয়া দেন। হয়ত তোয়াজ করেন, হয়ত মিলাইয়া দিতে চান । পরিচয় খাওয়ার পরেই অনুপমকে তিনি চিনিতে পারিলেন। বলিলেন, ওমা ! তুমি সেই অনুপাম ! জলপাইগুড়িতে তোমাকে, যে আমি কদিন ধরে দেখেছি, তবু চিনতে পারলাম না দেখে ? কি আশ্চর্য্য মন মানুষের !! তবে অনেকদিন আগে তোমায় দেখেছিলাম, দশ এগার বছরের কম নয়, ছোট ছিলে তখন তুমি । কত বয়েস তোমার এখন ? উনিশা ? দশ এগার বছর আগে যদি তোমায় দেখে থাকি,-ধরা যাক এগার বছর, তাহলে তখন তোমার বয়েস ছিল কপালের রেখায় চামড়ার ভাজ পড়িয়া গেল, নিজে নিজেই অবাক হইয়া সীতা বলিলেন, কি আশ্চর্য্য মন মানুষের ! উনিশ থেকে এগার বাদ গেলে কত যেন . Ο Σ