পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ গালও অনুপমের জিভের ডগায় আসিয়াছিল, কত কষ্টেই যে গালটা সে চাপিয়া রাখিল ! সীতা পিসীমার আজ ভাবান্তর আসিয়াছে। আজ যেন তিনি শান্ত, সহিষ্ণু, বুদ্ধিমতী মহিলা,-কথায় ব্যবহারে কোন রকম পাগলামি নাই, বরং তরঙ্গের চিঠির শেষাংশ ছিতিয়া লওয়ার জন্য অনুপম যে রাগারগি করার মত ছেলেমানুষী পাগলামি আরম্ভ করিবে, অনেক দিন আগে হইতে, তরঙ্গের গলায় দড়ি দেওয়ারও আগে হইতে, তিনি যেন তাহা জানিতেন এবং অনুপমকে সামলাইবার ভারটাও তখন হইতেই তিনি যেন গ্রহণ করিয়া রাখিয়াছেন । ধীর স্থির গম্ভীর গলায় বলিলেন, "ছেলেমানুষী ক’রো না অনুপম। তরঙ্গ চিঠিখানা আমার জিম্মায় রেখে গিয়েছিল, ইচ্ছে করলে সমস্ত চিঠিটাই তো আমি তোমাকে না দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে পারতাম ? তাই ইচ্ছে ছিল আমার, নেহাৎ তরঙ্গের শেষ কথাটা একেবারে ঠেলতে পারলাম না বলে অৰ্দ্ধেকটা তোমায় দিয়েছি। হ্যা অনুপম, তরঙ্গ যে এভাবে আমাদের ছেড়ে গেল, তার চেয়ে তরঙ্গের চিঠির খানিকটা পড়তে পারলে না, এটাই কি তোমার কাছে বড় হল ?” অনুপম ক্ষুব্ধ স্বরে বলিল, “এমনি ভাবে ছেড়ে গেল। S. 89