পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

অমৃতস্ত পুত্রাঃ ব্ধি অন্যায় থাকিতে পারে এখনও তিনি তাহা ভাল করিয়া বুঝিয়া উঠিতে পারে না, তবু এৰাড়ীতে বহুদিন ধরিয়া সঞ্চিত অব্যক্ত ধিক্কার অনুভব কৰিয়া তিনি কাবু হইয়া পড়িয়াছেন। এমনিভাবে একদিন তিনি র্তার বংশের প্রায় অজানা শাখাটির সঙ্গে পরিচিত হইতে আসিবেন, এই ক্ষুদ্র ঘরখানির মৃদু অজানা সুবাস- , মেশানো বাতাস নিঃশ্বাসে গ্রহণ করিয়া কিছুক্ষণ বঁচিতে বাধ্য হইবেন, একথা জানিয়াই যেন তাকে শাস্তি দিবার জন্য অনুপমেরু বাবা। আর ঠাকুরমা তাঁর মনের স্থায়ী অশান্তির সঙ্গে পাপের উপলদ্ধি মিশিবার ব্যবস্থা করিয়া রাখিয়া গিয়াছে ! ক্ষোভে বীরেশ্বরের চোখে জল আসিতে চায়। বিপরীত অস্বাভাবিক শাসন-পীড়ন মানুষের জীবনে ? স্বামী ত্যাগের অপরাধ করিল অনুপমের ঠাকুরমা, আর “সমস্ত জীবন মনোকষ্ট সহ্য করিয়াও তার নিস্তার হইল না, আত্মমর্য্যাদাটুকু পর্য্যন্ত আজি হরাইতে হইবে ! সাধনার সঙ্গে চা জলখাবার আসিল । জলখাবার বিশেষ কিছু নয়, ঘিয়ে ভাজা, দুধে সিদ্ধ চিনি-মেশান সুজি আর কয়েকখানা বিস্কুট। বীরেশ্বর এসব কিছু খানও না, সন্ধ্যা না করিয়া কিছু খাইবোনও না। এখানে 8)