পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ তোমার রূপ আছে, কলকাতা সহরে বড়লোকও আছে। অনেক। কি কুৎসিত কথা। [ কিন্তু কি আবেগের সঙ্গে কথাগুলি তিনি বলিতেন ! স্বামী যে পাগলাটে ছিলেন, সাধনা তা জানেন । যে উন্মাদিনী জননীর হাতে তিনি মানুষ হইয়াছিলেন, তাতে পাগলাটে হওয়ার বদলে একেবারে যে পাগল হইয়া যান নাই তিনি, তাই আশ্চর্য্য ! তা ছাড়া, কি হইবে বেশী টাকা দিয়া ? এ তাদের নিজের বাড়ী, সুতরাং থাকার ভাবনা নাই। যে টাকা হাতে আছে, সেঁ টাকা শেষ হওয়ার আগেই অনুপম টাকা আনিতে করিবে । প্রথমে আসা-যাওয়া একটু বেশী ছিল, তারপর গোল কমিয়া । বীরেশ্বর দু’চার দিন পরে পরেই গাড়ী লইয়া আসিতেন, খানিকক্ষণ এ-বাড়ীতে থাকিয়া সকলকে লইয়া যাইতেন” নিজের বাড়ী। সেখানে রান্নাবান্নার আয়োজন সেদিন হইতে খানিকটা উৎসবের মত, বীরেশ্বরের সভাপতিত্বে সকলে একসঙ্গে বানাইত কথা গল্প হাসি আনন্দের সভা, মনে হইত সত্যই যেন মিলনোৎসব। কিন্তু এক তরফ যাওয়া আর আসা। , 8 ዓ