পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ কেদার বলিলেন, আনাড়ি । লীলালয় রসিকতা করিয়া বলিলেন, নাড়ীজ্ঞান পাবে। কোথায় দাদা, নাড়ী কি কখনও ধরেছি। ! নাড়ীজ্ঞানী কেহ তখন শঙ্করের নাড়ী ধরিলে ভয়ে ভয়ে তাকে তৎক্ষণাৎ বাড়ী পাঠাইয়া দিতেন । ভিতরের জ্বালাটা কিসের বুঝিতে না পারিয়া শঙ্কর একটু চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছিল। মাথাটাও ঝিম ঝিম করিতেছে। বিনা আয়োজনে, বিনা প্রয়োজনে আজি সন্ধায় সে একি চমৎকার নবজীবন আরম্ভ করিয়া দিল ! মিটিং-এর লীলাময়ের মুখোস এখনও খসে নাই, উপর হইতে একটা পৰ্দা সরিয়া গিয়াছে মাত্র। এখনও লীলাময়ের মুখ দেখিলে মনে হয়, রসে টইটুম্বুর একটা মানুষ কান্নার ভান করা রসিকতায় ফাটিয়া পড়িবার উপক্রম করিতেছে। কেদার কি বক্তৃতা দিয়াছিলেন শঙ্কর শোনে নাই, লীলাময়ের কথাগুলি তার মনে আছে। এখন যে সুবাস বাসা বাধিয়াছে লীলাময়ের মুখে, মিটিংএর কথাগুলির সঙ্গে সেটা মিশিয়া থাকিলে না জানি আরও কত শ্রুতিমধুর হইত। তার বক্তৃতা, আরও কত মুগ্ধ হইয়া যাইত সভার লোক ! ভাবিতে ভাবিতে শঙ্কর হঠাৎ হাসিয়া ফেলিল ।