পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় সাধনার যে বিজন-ঠাকুরপে তরঙ্গের বাবা, তিনি ছিলেন প্রফেসর। বছর দুই তরঙ্গ যে স্বামীর ঘর করিয়াছে, তিনিও ছিলেন প্রফেসর-তরঙ্গের বাবার চেয়ে বড় ডিগ্রীধারী আর বেশী নাম-করা । দু’জন প্রফেসরের কাছে কত কিছুই যে তরঙ্গ শিখিয়াছে। তবে বাঙ্গালীর মেয়ে-বােঁ যা কিছু শেখে শুধু কল্পনা করার জন্যই শেখে—এবং কল্পনা করিতে করিতে কারও কারও কল্পনা আকাশ-পাতাল ছাড়াইয়া ও ছড়াইয়া যায়। যন্ত্রের মত এটা করিয়া গেলে কেউ বিশেষ কিছু মনে করে না, বড় জোর ‘আনমনা উড়, উড়, স্বভাবের জন্য একটু নিন্দ। রটে। লোকে বলাবলি করে যে, এর বড় আনমনা উড় উড়, স্বভাব, এ যদি সর্ব্বনাশ না করে ছাড়ে তো আমার কান কেটে নিও ! কিন্তু এমন উদভ্রান্ত যদি কারও কল্পনা হয় যে, লোকের বলাবলির ভয় না করিয়া কল্পনাটা পরিণত করিতে সায় কাজে, তখন বাধে সাংঘাতিক গোলমাল । b”ፍ»