পাতা:অমৃত গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাপ ! - ৰথার্থ । অভাব বিহনে কোন বস্তুর মূল্য উপলব্ধি হয় না, মহুষ্যের মৃত্যুর পরই বোঝা যায় যে, তাঙ্কণর অভাবে সংসারে কি পরিমাণ ক্ষতি হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনকালে তঁtহার ব্যক্তিগত মহত্ত্বের নিকট, র্তাহার অগাধ বিদ্যাবুদ্ধি দয়াদাক্ষিণ্যাদি অতুলনীয় বিবিধ সদৃগুণের সমক্ষে সকলে প্রণত হইত বটে, কিন্তু আজ তার দেহাবসানে এই শ্মশানে ষে ভক্তিমিশ্রিত করুণার দৃপ্ত দেখিলাম, তাহ সম্ভাবিত বলিয়া কখনও স্বপ্নেও অম্বুমান করি নাই । উচ্চ নীচ ভেদ নাই, সামাজিক পার্থক্যের বিচার নাই, পদমর্যাদার প্রাচীর ভঙ্গ হইয়াছে, দীনতার কুষ্ঠিত ভাৰ, সন্ত্রমের অভিমান, কুলমহিলার অবগুণ্ঠন, বিদ্যাসাগর বিহনে এ শ্মশানে সকলই আজি শোকসাগরে বিসর্জন হইয়াছে । এই ভাগীরথীতীর-সমাগত সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী অঞ্জ এক সাধারণ পরিবারের অস্তুভূত বলিয়। প্রতীয়মান হইতেছে ; একই সমবেদনায় ব্যথিত হইয়া সকলে যেন এক সংসারের একমাত্র অবলম্বনের জন্য এক প্রাণে সমস্বরে রোদন করিতেছে । এরূপ মৃত্যুর জন্যও মনুষ্য-জীবন প্রার্থনীয় ! ७ध्न नां★ ।। ६थार्थ, यथार्थ ; शांवडौग्न লোককে এমন শোকাকুল হইতে আর ইদানীং দেখা যায় না। তবে দুই একটী লোক একটু কাণঘুষে কচিল —তারা খুব দুঃখ কচ্ছিল বটে—বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গুণের কথা অনেক বলছিল, তবে ঐ একটু খুং ; বলাবলি কচ্ছে যে, বিধবা-বিবাহের মতটা প্রচার না কল্পে চন্দ্রে আর কলঙ্ক থাকিত না । ৪র্থ মাগ। যারা এই কথা বলে, তাদের ट्टैि নিতুৰ শুদ্ধ, চরিত্রবিশ্লেষণের শক্তি তাহাজের আদৌ নাই, মঙ্গুষ্যের বদরের ミbペ9 গভীরতম তলদেশে তাছাদের প্রবেশ করিৰার श्रशिकांग्न छरभू माझे । श्राभि वग्नर ५कछन বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতী নই, ব্রহ্মচর্য্যাবলম্বিনী বিধবা আমার চক্ষে মানবী নয়— দেবী। যখন দেখি, দৈহিক বৃত্তি-সমুদয় পতির চিতায় ভস্ম করিয়া জালাময় প্রাণকে দেহে আবদ্ধ করুত স্বামীর স্বৰ্গকামনায় বিধবীগণ ব্রহ্মচর্য্য পালন করেন, তখন তাহাদের চরণে মন্তক স্বতঃ অবনত হয় । কিন্তু যখন বিদ্যাসাগর বঙ্গের বিধবার দুঃখে কাতর হন, তখন সে ব্রহ্মচর্যের শিক্ষা কয় সংসারে ছিল ? তখন পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রথম প্লেয়ারের জলোচ্ছাসে ইংরাজ-সমাজের যত মূল আবর্জনাদি ভাসিয়া আসিয়া আমাদের সমাজের শান্ত সলিলকে কলুষিত করিতেছিল, সেই পুরাতন হিন্দুসমাজের পবিত্রত"অস্তুতিপ্রায় হইয়াছিল, সহধর্ম্মিণী বিলাসিনীতে পরিণত হইয়াছিল, বিদ্যাসুন্দর, নিধুর টপ্পা অস্তঃপুরে রামায়ণ মহাভারতের স্থান অধিকার করিতেছিল, ভোগবিলাস স্বার্থমুখ ইষ্টমন্ত্রের কার্য্য করিতে আরম্ভ করিল ; পিতা রোহিত মৎস্তের মুগু উদরসাৎ করিলেন,তৃতীয় পক্ষের বিমাতা সেই পাতে প্রসাদ পাইলেন, পুরোহিত আম্র রস ক্ষীর খদিক-সংযোগে ফলাহার করিয়া একাদশীব্রত-পালনে পুণ্য-সঞ্চয় করিলেন, আর একাদশবর্ষীয়া বিধবা বালিক সেই জ্যৈষ্ঠের নিদাঘে জলবিন্দু জিহ্বায় না দিয়া ধর্ম্মরক্ষক ধর্ম্মোপদেষ্টদিগের আহার কালে তালবুস্ত সঞ্চালন করিতে লাগিলেন, নিশসমাগমে লালসা উদ্দীপনকারী বিলাসবেশে বিভূষিতা হইয়া সঙ্গিনী সধবাগণ স্বামীসত্ত্বে পালঙ্কে সুকোমল শয্যায় শয়ন করিলেন, আর রূক্ষকেশ মলিনবেশ কৌমার-পত্তিহীন বালা