পাতা:অমৃত গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাপ ! ( দয়ার প্রবেশ ) দয়া। “দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর," এখানেও ঐ নাম শুনি, যেখানে যাই, ঐ নাম । হেথায় গিরিমালাও কি শোক ভরে ঐ মধুর নাম প্রতিধ্বনি কচে ? আহ ! ও কে ছুটী ব’সে ? আহঃ, দিব্যি ছেলেট, সঙ্গে স্থবির ব্রাহ্মণ, বোধ হয়, পথিক পথপ্রাস্তে কাতর ; কে বাছা তোমরা এখানে ব'সে ? তোমরা কি পথশ্রমে কাতর হয়েছ ? ব্রাহ্মণ । পৌণ্ড্ৰটী আমার অতি শিশু, আমারও দিন ফুরিয়ে এসেছে, এই রৌদ্রে পর্ব্বতপথে চ’লে বড়ই কাতর হয়েছিলাম বটে, কিন্তু বাছা, তোমার মুখ দেখে,তোমার মিষ্ট কথা শুনে ক্লাস্তি যেন কোথায় চ’লে গেল, দেহে যেন নূতন বল পেলেম, কে ম৷ তুমি ? কোথায় বাড়ী তোমার মা ? কার ঘর তুমি আলো করেছ ? দয়া । বাছা, ঘর আমার বিষ্ণুপুর, মনে কল্পেই কাছে, মনে কল্পেই দুর। আমার বাপের নামটা দয়াময়, নাম কল্পে যম পায় ভয়, আমি তার মেয়ে ব’লে, আমায় লোকে দয়া বলে ; ঐশ্বর্য্যের তার নাই সীমানা, লুটুক যে সে নাইক মান। বাবার সবার প্রতি দয়া, কেবল মেয়েকে নাই মায়া ; চিরদিনই স্থা হুতাশ, চিরদিনই বনে বাস ; দয়ার পানে দয়া ক’রে স্থান দেয় না কেউ ত ঘরে । কচিৎ কারুর দয়া হয় যদি দয়ায় দেয় আশ্রয়, জমি কান্না কাটনী বেদন যেথা, হাত ধ’রে মোর নে যায় সেথ । २b-१ মুছি মুছাই চক্ষের জল, छ८न्य श्रांश्वॉड्र कभ{शृठ् । बाक्रम । अश्।, बख्न घटब्रश्न ८माग्न श्रङ्ग এত দুঃখ পাছ ? আমরা কলকেতায় যাচ্ছি, আমাদের সঙ্গে যাবে ? দয়া । সেথায় তোমরা কি করতে যাচ্ছ বীৰ ? ব্রাহ্মণ । বাছ, আমরা দুঃখী,তুমিও দুঃখী, বিশেষ মা, তোমার নামটীs দয়া, মুখটীও যেন মায়া মাথ, তোমার কাছে দুঃখের কথা বলি। যৎকিঞ্চিং ব্রহ্মত্তর ছিল, জমীদার মহাশয় তা কেড়ে নিয়েছেন, ছেলেট তেমন লেখাপড়া শেখেনি, তার রুগ্ন, নিজের এই স্থবির অবস্থা, দিন চলা ভার,পিতৃপিতামহের নাম রাখবার ভরসা এই পৌভ্রট, এ যদি লেখাপড়া শিখে ভবিষ্যতে মানুষ হয়, তবেই ব্রাহ্মণের ঘরটা বজায় থাকে, লেখাপড়া শেখাবার সঙ্গতিও নাই, এত দিন কিছুই কত্তে পারিনে, সম্প্রতি কিছুদিন হ'লে, কলফেতা থেকে একজন মহাপুরুষ এসে এখানে বাস করেছিলেন, পরম্পরায় শুনলেম ষে, র্তার অতুল বিদ্যা,অসীম দয়া, এমন কি, এই পাহাড়ী সাওতালগুলোকে তিনি মানুষ ক’রে তুলেছেন, তাদের ব্যামো হ’লে চিকিৎসা, তাদের ছেলেদের জন্য পাঠশালা কিছুতেই যত্ন কৰ্বে, অর্থব্যয় করতে ক্রটি করেননি। এই সাওতালের তাহার নাম শুমূলে নাচে, কঁদে, হাসে, তারে বাবা ব’লে ডাকে । দয়া । আহা, পরের দুঃখ মাথায় করে, কজন এমন এ সংসারে ? মরেও সে জন হয় অমর | হ্যা, কি বল তার পর ? ব্রাহ্মণ। পৌত্রটাকে সঙ্গে নিয়ে তার কাছে এসে সব কথা খুলে বল্লেম, শুনে ব্রাহ্মণের দুই চক্ষু দিয়ে জলধারা পড়তে লাগল।