পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a অরক্ষণীয়া অশান্তির ব্যাপার ছিল । এই লইয়া বড় এবং ছোট জায়ে প্রায়ই কথাকাটাকাটি এবং মন কষাকষি চলিত। এ কয়দিন এই হাঙ্গামা হইতে নিস্তার পাইয়া উভয়ের মধ্যে অনেক দিনেব। পর আবার একটা ভালবাসার গ্রন্থিবন্ধনের সূচনা হইতেছিল। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ সেই বাধনটা আর একবার ছিাড়িয়া যাইবার উপক্রম হইল। তাহার কারণ এই যে, বেলা সাতটা বাজে, এবং বি আসিয়া সদ্য-নিদ্রোখিত ছোটবধূকে জানাইল যে, কয়লার উনানের আঁচ উঠিয়া গিয়াছে, একটি তৎপর হইয়া রান্না চাপাইয়া দেওয়া আবশ্যক । ছোটবেী বিরক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, কেন মেজদি কি করচে ? বেলা সাতটা বাজে-আজ বুঝি তার সে হুশ নেই ? বিী কহিল, হুশি কেন থাকবে না, গা ? ভোরে উঠে মায়ে-ঝিয়ে জিনিসপত্র গোছগাছ বাধাৰ্ছিদা করছে—এই আটটার গাড়িতে হরিপাল না কোথায় যাবে যে । ছোটবেীর কালকার কথা মনে পড়িল । কিন্তু কিছুমাত্র প্রসন্ন না হইয়া চোইয়া কহিল, যাবে বললেই যাবে নাকি ? বাবুর হুকুম নিয়েচে ? দিদিকে জানিয়েচে ? ঝি কহিল, বাবুর কথা জানিনে ছোটবেীমা, কিন্তু বড়মা ত নিজেই তাদের আজ যেতে বলেছিল । তবে, তাকেই বল গে সাড়ে আটটার ভাত দিতে-আমি জানিনে, বলিয়া ছোটবীে ক্রোধে অগ্নিমূর্তি হইয়া, খানিকটা গুল-গুড়ানো ঠোঁটের ভিতর পুরিয়া গামছােটা কঁধে ফেলিয়া খিড়কির দিকে হনহন করিয়া { চলিয়া গেল। ঝি বলিল, থাকলে ত বলব। তিনি গেলেন গঙ্গাচ্চন করতে । --বলিয়া সে নিজের কাজে চলিয়া গেল । ছোটবেীকে ফিরিতে হইল, কারণ অফিসের সাহেব তাহার রাগের মর্যাদা বুঝিবে না। হয় যা-হোক দুটা সিদ্ধ করিয়া দিতেই হইবে, না