পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরক্ষণীয়া GS --নিজের মেয়েটাও ত বিবাহযোগ্য হ’ল—তাই আমি বলি কি জান, —সব দিক আমার বঁচিয়ে চলা ত আবশ্যক,-আমি বলি কিগেনিকে এ-সময় আর কোথাও না পাঠালেই নয়। এ-বাড়িতে আর ত তাকে রাখা যায় না। বডড হৈচৈ হচ্চে । দুৰ্গার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর ওষ্ঠ্যাধরের মধ্যেই যেন মিলাইয়া গেল,-কোথায় সে যাবে ঠাকুরপো ? অনাথ কহিল, হরিপালেই যাক । সেখানে কি করে যাবে ? গিয়েই বা কি হবে ঠাকুরপো ? অনাথ এবার রুষ্ট হইল ; কহিল, এ তোমার অন্যায়, মেজবৌঠান ! কেবল নিজেরাট দেখলেই ত চলে না, যার সংসারে আছ—অসময়ে যে তোমাদের ঘাড়ে নিলে, তার ভাল-মন্দও ত চেয়ে দেখা চাই । দুৰ্গা জবাব দিতে পারিলেন না-শুধু একটা নিঃশ্বাস ফেলিলেন । এ নিঃশ্বাসে এইটুকু কাজ হইল যে, অনাথ গলাটা একটু কোমল করিয়া কহিতে লাগিল, এ অবস্থায় তোমার একটু কষ্ট হবে বটে, তা বুঝতে পারাচি । কিন্তু উপায় কি ? আর তোমার নিজের দোষও আছে, মেজবৌঠান। তোমার দাদাকে চিঠি লিখেছিলাম-তিনি তা স্পষ্টই লিখেছেন-সেখানে বিয়ের সমস্ত যোগাড় হয়েছিল, তুমি শুধু একটা অসম্ভব। আশায় ভুলে, রাগারগি করে মেয়ে নিয়ে চলে এলে। তা না করলে তা আজ স্বচ্ছনেদ স্বচ্ছন্দে যে কি হইতে পারিত, সেটা আর অনাথ খুলিয়া বলিল না। কিন্তু দুৰ্গা বুঝিলেন- হঠাৎ কেন সে আজ জ্ঞানদাকে বিদায় করিবার প্রস্তাব লইয়া উপস্থিত হইয়াছে। কিছুমাত্র হাঙ্গামা না। পোহাইয়া, একটা পয়সা খরচ না করিয়া এই দায় হইতে নিস্কৃতি পাইবার সন্ধান যখন তাহার মিলিয়াছে, তখন এ লোভ ত্যাগ করিবে: -6न (क्य कभन्थ कीं । সে চলিয়া গেলে খানিক পরে কাজকর্ম সারিয়া জ্ঞানদা ঘবে ঢুকিয়া,