পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रठभन्नत्रकोशi O পরদিন অনাথকে নিজের শয্যাপার্শ্বে ডাকাইয়া আনিয়া দুৰ্গা তাহার হাত-দুটি চাপিয়া ধরিয়া কঁাদিয়া কহিলেন, ঠাকুরপো, সম্পর্কে বড় না হলে আজ তোমার পায়ে ধরে ভিক্ষে চাইতাম ভাই, তোমার যাকে ইচ্ছে হয় একে দাও, কিন্তু মেয়েকে এ-সময়ে আমার কাছ-ছাড়া করে না।--বলিয়া জ্ঞানদার হাতখানি তুলিয়া লইয়া তাহার কাকার হাতের উপর রাখিলেন । অনাথ হাতটা টানিয়া লইয়া বিরক্ত হইয়া কহিল, পরের দায়ে আমার জাত যায়। আমি কি চেষ্টার ত্রুটি করাচি মেজবৌঠান ? কিন্তু ঘাটের মাড়াও যে এ শকুনিকে বিয়ে করতে চায় না । বলি, তোমার সেই বালা-জোড়াটা যে ছিল, কি করলে ? সে ত তোমার দাদার শ্রাদ্ধের সময়েই গেছে ঠাকুরপো । অনাথ হাতটা উল্টাইয়া কহিল, তা হলে আর আমি কি করব ! একটা পয়সাও দেবে না, মেয়েও ছাড়বে না।--তার মানে, আমাকে মাথায় পা দিয়ে ডুবোতে চাও আর কি !—বলিয়া রাগ করিয়া চলিয়া গেল । সে চলিয়া গেলে দুৰ্গা ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া, অকস্মাৎ মেয়ের হাতটা সজোরে ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন, বসে আছিস ? ঘরে সন্ধ্যা দিবিনে ! যে-সমস্ত আলোচনা এইমাত্র হইয়া (গল, তাহারই দহনে বোধ করি জ্ঞানদা একটুখানি অন্যমনস্ক হইয়া পড়িয়াছিল। জবাব দিবার পূর্দেই মা নিরতিশয় কঠিন হইয়া বলিয়া উঠিলেন, মরণ আর কি ! রাজকন্যার মত আবার অভিমান করে বসে আছেন । হা লা গেনি, এত ধিক্কারেও তোর ত প্রাণ বেরোয় না । যাদু ঘোষের এক ছেলে সেদিন তিনদিনের জ্বরে ম'ল - আর একটা বছর ধরে তুই নিত্যি জ্বরের সঙ্গে যুঝচিস, কিন্তু তোকে তা যম নিতে পারলে না। তুই বলে তাই এখনও মুখ দেখাস, আর কোন মেয়ে হলে মনের ঘেন্নায় এতদিন জলে ডুবে মরত । যা যা, সুমুখ থেকে একটু সরে যা শুকুনি-একদণ্ড হাফ