পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ébም অরক্ষণীয়া কথা শুনব না। এমন খুজলে পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া দেবারথোবার কামড় নেই। 1 ছেলে নিজে পছন্দ করেচে-মা মাগী যে বলবেন,-এ নেব, তা নেব, সে না হলে চলবে না।--তার জো নেই। এমন সুবিধে কি আমি শেযকালে দেরি করতে গিয়ে নষ্ট করে ফেলব ? অনাথ সািভয়ে ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না, না, সে কি হতে পারে ! তুমি হলে আমার সংসারের কর্তা গিন্নী সমস্তই । তোমার মেয়ের বিয়ে লোনপোর সঙ্গে দেবে, যেদিন খুশি দিয়ে, যা ইচ্ছে করে, আমি কখনো ত তাতে না বলব না, বৌঠান । স্বর্ণ সগৰ্বে বলিলেন, তা ত বলবে না জানি । কখনো বলোও নি-আমার সে দেওর তুমি নও। তাতেই ত বলচি এখন যা বলি, কর । আর গড়িমসি করো না, যাকে হোক পরে-বেঁধে ওকে বিদায় কর । সে না করলে মাধুরীর বিয়ে কোনমতেই হতে পারবে না। এমনিই তা পাড়ার ব্যাট-বেটির নানা কথা কইচে, তখন কি আবার একটা গোলমালে পড়ে যাব ? মনে বেশ করে বুঝে দেখ, ও তোমারই ঘরের মড়া, ফেলবে ফ্যালো, না হয় পচা গন্ধে মরো । কথাটা অনাথ ভাবিতে ভাবিতে অফিসে গেল এবং পরদিন হইতেই ঘরের মড়া ফেলিবার জন্য ছুটাছুটি করিয়া এমন দুই-চারিজন পাত্র ধরিয়া আনিতে লাগিল, যাহাঁদের পরিচয় নিজের মুখে দিতে গেলে লে।ণ করি স্বর্ণমঞ্জরীকেও দু’বার ঢ়োক গিলিতে হইত। সেদিন দুপুরবেলা অনেক দিনের পর স্বর্ণ আসিয়া দুর্গার ঘরে ঢুকিলেন-বলি, আজ কেমন আছো, মেজবৌ ? দুৰ্গা কষ্টে পাশ ফিরিয়া হাতটা একটু উল্টাইয়া কহিলেন, আর থাক-থাকি দিদি। আশীৰ্বাদ কর, আর যেন বেশীদিন ভুগতে না হয়। স্বর্ণ সহানুভূতির স্বরে বলিলেন, না না, ভয় কি ? ভাল হয়ে যাবে। বৈ কি । দুর্গা চুপ কারিয়া রহিলেন, প্রতিবাদ করিলেন না। স্বর্ণ তখন