পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VR अझझीश। গহনার অভাব একটা ভারি অভাব বলিয়া আজ তাহার চোখে পড়িল না । তখনও অনেক বেলা ছিল, কিন্তু কোনমতেই আর তিনি শুইতে । চাহিলেন না । সমস্ত দুঃখ ভুলিয়া মেয়েকে সম্মুখে লইয়া বসিয়া রহিলেন। গেনিকে দেখিতে আসিবে শুনিয়া পাশের বাড়ির নীলকণ্ঠের পরিবার আসিলেন, তরঙ্গিনী ঠাকুরঝি আসিলেন । যথাসময়ে মেয়ের ডাক পড়িল, র্তাহারা গিয়া পাশের ঘর হইতে উকি-ঝুকি মারিতে লাগিলেন। দৃষ্টির অন্তরালে একমাত্র উপযুক্ত সন্তানের অত্যন্ত কঠিন অস্ত্রচিকিৎসা সম্পন্ন হইতে থাকিলে তাহার মা যেমন করিয়া সময় কাটান, তেমনি করিয়া দুৰ্গা একাকী তাহার মলিন শয্যার উপর বসিয়া রহিলেন । পাত্র এবং ঘটকঠাকুর জলযোগাদি সমাধা করিয়া বাহির হইলেন— তিনি টের পাইলেন। তঁহাদের ঠিকাগাড়ি ছড়াছড়ি ঘড়ঘড় করিয়া চলিয়া গেল-তাহাও শুনিতে পাইলেন। তার পরে তরঙ্গিনী ঠাকুরুঝি ঘরে ঢুকিয়া একটা মস্ত দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়া জানাইলেন, নাং,-মেয়ে °ष्ट्न् इट् ब् | দুৰ্গা চোখ বুজিয়া শুইয়া পড়িলেন, একটি প্রশ্নও করিলেন না। ঠাকুর ঝি করুণস্বরে কহিতে লাগিলেন, ঐ হাড়-গোড় বার-করা মেয়ে কি কারু পছন্দ হয় ? বলি মেজবৌ, গেনিকে দু’দিন খাওয়াও— মাখাও, একটু তাউত কর । আমরা ছেলেবেলা থেকে দেখেছি ত । এই মেয়ে কি এমনিই ছিল ? জরে জ্বরে বাছার হাড়-পাজরা বার করে ফেলেচে-একটা বছর সবুর করে যত্ন-আত্তি করে দেখা দিকি, ঐ মেয়ে আবার কেমন হয়। তখন পড়তে পাবে না । সে ত ঠিক কথা । কিন্তু কৈ সে সুযোগ ? টাকা কৈ ? একটা বৎসর অপেক্ষা করিয়া তাহার অস্থিপঞ্জির ঢাকা দিবার সময় কোথায় ? মেয়ে যে পনেরোয় পড়িল। পিতৃপুরুষেরা প্রতিদিন যে নরকে গভীরতর কূপে নিমগ্ন হইতেছেন। বড় কুলীনের মেয়ে নয়, তাই