পাতা:অরক্ষণীয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ჯტხr অরক্ষণীয়া নয়, কৃতজ্ঞতার উচ্ছাস নয়,-অকপটে সমস্ত প্রাণ ঢালিয়াই ভালবাসিয়াছিল। আজ অকস্মাৎ যখন চোখে পড়িল, সেই মুখখানার উপরেই যম তাহার ডিক্রীজারি করিয়া শেষ নোটিশ আঁটিয়া দিয়া গেছেন, তখন মুহুর্তের জন্য সে আত্মবিস্মৃত হইল। কি একটা বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু স্বর্ণের উচ্চকণ্ঠে তাহা চাপা পড়িয়া গেল। আঁ্যা, খানকীর বেহদা করলি লা ? একটা ঘাটের মড়া, তার মন ভুলোবার জন্যে এই সঙ সেজে এলি! কিন্তু পারলি ভুলাতে ? মুখে লাথি মেরে চলে গেল যে ! কে একজন প্রশ্ন করিল, কে এমন ভূত সাজিয়ে দিলে বড়বৌ ? বুড়োর পছন্দ হ’ল না বুঝি ? স্বর্ণ তাহার প্রতি চাহিয়া, তর্জন করিয়া কহিলেন-নিজে সেজেচেন- আবার কে সাজাবে ? মা ত অজ্ঞান অচৈতন্য । বলে দিলাম, শুধু একখানি কাপড় পরে আয়। তা পছন্দ হল না । ভাবলেন সেজোগুজে না গেলে যদি বুড়োর মনে না ধরে। আর সাজের মধ্যে ত ঐ ছোপানো কাপড়খানি, আর অতুলের দেওয়া এই দু’গাছি চুডি। তা দিনের মধ্যে দশবার খুলে তুলে রাখচে, দশবার হাতে পরচে। কালীমুখীর ও-চুড়ি হাতে দিয়ে বার হতে লজ্জাও করে না ? বেরো সুমুখ থেকে - দূর হয়ে যা ! বেহায়া মেয়েটার এই নির্লজ চরিত্রের সবাই সমালোচনা করিয়া ছিছি করিয়া চলিয়া গেল ; শুধু র্যাহার কাছে কিছুই অজ্ঞাত থাকে না, সেই অন্তর্যামীর চোখ দিয়া হয়ত বা এক ফোটা জল গড়াইয়া পড়িল । তিনিই শুধু জানিলেন-যে মেয়েটা আজন্মকাল লজ্জায় কখনো মুখ তুলিয়া কথা কহিতেই পারিত না, সে কেমন করিয়া, আজ সকল লজ্জায় পদাঘাত করিয়া নিজের ওই স্বাস্থ্য-শ্রীহীন দেহটাকে স্বহস্তে সাজাইয়া আনিয়া ঐ অতি-বৃদ্ধটার পদেই ঠকাইয়া বিক্রি করিতে গিয়াছিল। DD DDuD DuD DS SiBDB BB BDSS BBBDB BBBBD S uD DDD