পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাধুসন্তদের অলৌকিক ক্ষমতা
১১৯

দুধ খেলে রােগটি আশ্চর্যজনকভাবে সেরে যাচ্ছে।

 শুরু হল ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্রোতের মতাে মানুষ আসতে লাগলেন দূর-দূরান্ত থেকে। এমন কী বাংলাদেশ থেকেও। লরি, টেম্পাের গাদা লেগে গেল। পরপর তিনদিন অলৌকিক দুধ খেয়ে রােগ মুক্তি তীব্র আকাঙ্ক্ষা

অলৌকিক বকনা

নিয়ে নারী-পুরুষ সকলেই রাত কাটাতে লাগলেন খােলা আকাশের নীচে। কারণ অনেকেই এতদূর থেকে আসেন, যেখান থেকে পরপর তিনদিন যাওয়া আসা অসম্ভব বা কষ্টসাধ্য। দুধ দেওয়া বন্ধ থাকে শুক্রবার ও বাংলা মাসের ১৪ তারিখ। দুধ খাওয়ার নিয়ম হলাে, দুধ কোথাও নিয়ে যাওয়া চলবে না, ওখানেই খেতে হবে। অর্থাৎ রােগীকে স্বয়ং আসতে হবে।

 এতগুলাে মানুষ থাকছেন, প্রাকৃতিক কাজ সারছেন, পরিবেশ দূষণ রােধে এগিয়ে এলাে স্থানীয় ক্লাব নজরুল ক্রীড়া চক্র। বিনিময়ে মানুষগুলাের কাছ থেকে আদায় করতে লাগলাে ২০ পয়সা করে। মেহেবুব আলির সঙ্গে ক্রীড়া চক্রের এই নিয়ে মন কষাকষি। ফলে পুলিশের হস্তক্ষেপ। ক্রীড়া চক্র ২০ পয়সা কমিয়ে ১০ পয়সা করল।

 মেহেবুব আলি রােগীদের দুধ দেন নস্যির চামচের এক চামচ করে। বিনিময়ে কোনও পয়সা দাবি করেন না। ভালবেসে শ্রদ্ধার সঙ্গে যে যা দেন তাই নেন।

 ‘বনগাঁ সায়েন্স ক্লাব’ তখন ছিল যুক্তিবাদী সমিতির সহযােগী সংস্থা। ক্লাবের কিছু সদস্য এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালান। অনুসন্ধান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে যেসব রিপাের্ট আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে জানতে পারি—প্রতিদিন পাঁচ-ছ’হাজার